শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে—এমন সংবাদকে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (৪ জুন) প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এসব নেতারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও নেতৃত্বদানকারী হিসেবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, সংগঠক, সশস্ত্র যোদ্ধা এবং পরিচালনাকারী সকলেই মুক্তিযোদ্ধা, আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘সহযোগী’ শব্দটি কোনোভাবেই তাদের মর্যাদা হ্রাস করে না। ১৯৭২ সালের সংজ্ঞা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যদিও তা ২০১৮ ও ২০২২ সালে সংশোধিত হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধা এবং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা—উভয়েই সমান সম্মান ও সুবিধা পাবেন।
প্রসঙ্গত, জামুকা আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কিছু গণমাধ্যম ভুলভাবে শীর্ষ নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে।