মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) কেয়া খান বলেছেন, তৃণমূলের নারীদের সমাজের উন্নয়নের মূল স্রোতে আনার বাস্তব পদক্ষেপ হচ্ছে অদম্য নারী পুরস্কার কার্যক্রম। সরকার তাঁদের যথাযথ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। সমাজে সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অদম্য নারীরা ভূমিকা রাখছেন। আজ বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি সিলেটে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ে অদম্য নারী পুরস্কার ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অদম্য নারীগণের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মো. আজিজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ, উপমহাপুলিশ কমিশনার সজিব খান, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আশিক উদ্দিন। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত পরিচালক ও অদম্য কর্মসূচি পরিচালক মো. মনির হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার।
তৃণমূলে দুই কোটি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগসমূহ তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, সরকার নারী শিক্ষার বিস্তার ও অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ কর্মসূচির আওতায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে জীবন সংগ্রামে জয়ী, অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার। কেয়া খান বলেন, এসকল অদম্য নারীদের খুঁজে বের করে সম্মানিত করে অন্যদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা দেশের অন্যান্য নারীদেরও অনুপ্রাণিত করবে। আগামী বছর নীতিমালা সংশোধন করে ক্যাটাগরি বৃদ্ধি করে আরো বেশি নারীকে সম্মানিত করার আশ্বাস প্রদান করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের এ মহাপরিচালক।
সিলেট বিভাগে অদম্য নারী পুরস্কার ২০২৪-এ শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী হয়েছেন পাঁচ ক্যাটাগরির পাঁচজন। তাঁরা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী আম্বিয়া খাতুন, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে হালিমা বেগম, সফল জননী মাজেদা আক্তার, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে সফল নারী মোছা. রেহেনা বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য শেখ রওশন আরা নিপা।