একসময় যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক ছিলেন কনি হক। ‘ব্লু পিটার’, ‘দ্য এক্সট্রা ফ্যাক্টর’ ও ‘শক্ট ব্রিটেন’-এর মতো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার মাধ্যমে ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে ওঠেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিক। তবে এখন আর তিনি শোবিজ জগতে নেই। খ্যাতির আলো ছেড়ে কনি হক বেছে নিয়েছেন একান্ত সাধারণ ও নিরাভরণ জীবন।
‘মিনিমালিস্টিক’ জীবনধারা
বর্তমানে কনি হক ‘মিনিমালিস্টিক’ বা ন্যূনতম চাহিদাসম্পন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত। বহু বছর ধরে তিনি নতুন ফোন কেনেননি এবং প্রয়োজন ছাড়া নতুন পোশাকও কেনেন না। কনির ভাষায়, তার এই জীবনধারা ভোগবাদিতার বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ।
কনি বলেন, “আমরা যত কম ভোগ করব, ততই আমাদের জীবন হবে সহজ এবং অর্থপূর্ণ।”
পারিবারিক পটভূমি
লন্ডনের হ্যামারস্মিথে জন্ম নেওয়া কনি হক এক প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারের সন্তান। ষাটের দশকে তার বাবা-মা বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তিন বোনের মধ্যে কনি সর্বকনিষ্ঠ।
তার বড় বোন রুমা হক ব্রিটিশ রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। তিনি লেবার পার্টির হয়ে ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রুমা পেশায় সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।
অন্য বোন নুতুন হক সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন যুক্তরাজ্যে।
লেখালেখিতে মনোযোগ
শোবিজ ছাড়ার পর কনি হক এখন লেখালেখিতে মনোযোগী। ২০২০ সালে শিশুদের জন্য তিনি লিখেছেন দুটি বই:
-
“কুকি অ্যান্ড দ্য মোস্ট অ্যানোয়িং বয় ইন দ্য ওয়ার্ল্ড”
-
“কুকি অ্যান্ড দ্য মোস্ট মিসটেরিয়াস বয় ইন দ্য ওয়ার্ল্ড”
তারকা স্বামী
কনির স্বামী চার্লি ব্রুকার, যিনি জনপ্রিয় ব্রিটিশ টিভি সিরিজ Black Mirror-এর স্রষ্টা। তবে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে তাঁরা সবসময়ই আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন।
একসময় ক্যামেরার সামনে আলো ছড়ালেও এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো ও লেখালেখির মাঝেই সুখ খুঁজে নিচ্ছেন কনি হক।