সম্প্রতি ওপেনার তামিম ইকবালের ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর যেন পিনপতন নিরবতা ক্রিকেটপাড়ায়। সামনেই এশিয়া কাপ। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়কের সরে দাঁড়ানোটা কপালে ফেলেছিল চিন্তার ভাঁজ। শুরু হয় জল্পনা, কে হবেন নতুন অধিনায়ক? আচমকা দুটো বড় আসরের দায়িত্ব কার হাতে তুলে দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)?
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য পুরোনো ও বিশ্বস্ত নেতা সাকিব আল হাসানের হাতেই ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে বিসিবি। আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানকে ঘোষণা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সাকিবের অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ওর দক্ষতা নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নাই। সাকিবকে নিয়ে একটা সময় আমার মনে হতো, ও খেলা নিয়ে কতটুকু সিরিয়াস! কিন্তু, গত এক বছরে ওর খেলা দেখে মনে হচ্ছে দলে ওর চেয়ে সিরিয়াস কেউ নেই এই মুহূর্তে। ওর সব মনোযোগ এখন ক্রিকেটে। এটি আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। ওর দক্ষতা ও সামর্থ্য নিয়ে কখনো কারও সন্দেহ থাকার প্রশ্নই আসে না।’
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে করেছিলেন ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতে আট ম্যাচে ৬০৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন দুটো অসাধারণ সেঞ্চুরি। বল হাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শিকার করেছিলেন পাঁচ উইকেট। আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে তাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন ভক্তরা।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। তার নেতৃত্বে ওই আসরে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি ইংল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ।
২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান সাকিব। তার নেতৃত্বে ৫০টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। জয় পেয়েছে ২৩ ম্যাচে। জয়ের হার ৪৬ শতাংশ।