সাবেক সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরীর গ্রেপ্তারের পেছনে ব্যবসা দখলের গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
সাবেক সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরীর গ্রেপ্তারের পেছনে ব্যবসা দখলের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানা যায়।
রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসা থেকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সাবেক সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তার বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা ছিল না, তবুও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে ঘটনাটি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া মনে হলেও, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অন্য একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাবেক সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী, একজন সফল প্রবাসী ব্যবসায়ী, তার পরিবারের ব্যবসা দখলের জন্য একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এতে রাজনৈতিক চক্রান্তের পাশাপাশি, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে, যা মূলত তার পারিবারিক ব্যবসাকে দখল করার উদ্দেশ্যে।
সাবেক সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী কেবল একজন রাজনীতিবিদই নন, বরং একজন সফল প্রবাসী ব্যবসায়ীও। তার পরিবারের রয়েছে দীর্ঘদিনের একটি বর্ণাঢ্য ব্যবসায়িক ঐতিহ্য। প্রবাসে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি তার ভাইদের সাথে মিলিত হয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি চার তারকা মানের হোটেল প্রতিষ্ঠা করেন, যা উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে অবস্থিত। তবে, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন আসার সাথে সাথে কিছু দুষ্কৃতিকারীর নজর পড়ে এই হোটেলের উপর। তাদের লক্ষ্য ছিল হোটেলটি দখল করা।
বিভিন্ন চক্রের মাধ্যমে হোটেলটির মালিকানা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টার পাশাপাশি, সেখানে নিয়মিতভাবে চাঁদাবাজি এবং হুমকি-ধামকি দেয়া হতে থাকে। তারা রাজনৈতিক মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, এবং ইয়াহইয়া চৌধুরীকে ঘিরে একটি মিথ্যা রাজনৈতিক প্রচারণা গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
এদিকে, সিলেটের প্রভাবশালী প্রবাসী পরিবারটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং তাদের পারিবারিক ব্যবসার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল আইনি পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ইয়াহইয়া চৌধুরী ও তার পরিবার এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখছেন, যেখানে তাদের সফল ব্যবসা দখলের জন্য মিথ্যা ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী জনি খান মন্তব্য করেছেন, “প্রবাসীদের জন্য একটি সুরক্ষিত এবং ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে, দেশের আইনি কাঠামোকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে। শুধুমাত্র এইভাবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা সম্ভব।”
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই চক্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে বিভক্তি সৃষ্টি না করে, একজন প্রবাসী ব্যবসায়ীর কষ্টার্জিত ব্যবসা দখলের চেষ্টা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সুষ্ঠু তদন্ত এবং নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করা উচিত, যাতে এই ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ড রোধ করা সম্ভব হয়।
ইয়াহইয়া চৌধুরী ও তার পরিবার এই পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসার নিরাপত্তা এবং বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি, হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি এবং তাদের ব্যবসা দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ আশা করছেন।