বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম কমর উদ্দিনের সুযোগ্য কন্যা সাবিনা খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান সিলেট ৬ আসনে।
বুধবার (৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি জানান, গোলাপগঞ্জ-বিয়ানিবাজার আমার বাবার জন্মভূমি। আমার বাবা সবসময় এই এলাকার উন্নয়ন নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে আমাদেরকে বলেছেন আমরা যেন তার কবর গ্রামে দেই। তিনি শেওলা ব্রিজ, জলঢুপ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি সবসময় চাইতেন মৃত্যুর পূর্বে যেন তারুণ্যের অহংকার দেশ নায়ক তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখে মৃত্যু বরণ করেন। এবং আমাদের গোলাপগঞ্জ-বিয়ানিবাজার যেন দেশের মধ্যে অন্যতম মডেল একটি আসন হিসেবে যেন গড়ে তুলেন। কেননা বিএনপি থাকা কালীন সময়ে হেলিকপ্টারে করে আমাদের এলাকায় তখনকার প্রধান মন্ত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের শেওলা ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তাই বাবার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকু আঁকড়ে ধরে আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করে যেন এলাকার উন্নয়নে আমি ভূমিকা রাখতে পারি।
জানা যায়, সাবিনা খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সদস্য ও যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেটসের কাউন্সিলর। সিলেটের বিয়ানিবাজার উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম কমর উদ্দিনের মেয়ে।
তার পিতা কমর উদ্দিনের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে চান তিনি।
তিনি বলেন, আমার বাবা শুধু যুক্তরাজ্য ও সিলেট নয়, বরং প্রজন্ম ও সমাজের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করেছিলেন,” সাবিনা স্মরণ করেন। “ব্যবসায়ী এবং ইউকে বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে থেকে তিনি অসংখ্য মানুষকে সাহায্য করেছেন। কিন্তু যেখানেই গিয়েছেন, তাঁর হৃদয় সবসময় ছিল এখানেই – গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে।
যুক্তরাজ্যে বেড়ে উঠলেও, সাবিনা খানের আত্মিক সম্পর্ক বাংলাদেশের মাটির সঙ্গে। তিনি এই নির্বাচনী প্রচারণাকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ হিসেবে দেখছেন । কেননা তিনি গত দশ বছর ব্রেন্ট ও টাওয়ার হ্যামলেটসের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকায় কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন।
গোলাপগঞ্জ-বিয়ানিবাজারবাসীর সেবা করার লক্ষ্যে তিনি বলেন, আবাসন, শিক্ষা ও তরুণদের সুযোগ সৃষ্টি নিয়ে কাজ করতে চাই। প্রবাসী অধ্যুষিত এই এলাকা আমি বিদেশের আদলে সাজাতে চাই। আমি যুক্তরাজ্যে বড় হয়েছি, কিন্তু আমার শেকড় এই মাটিতেই। বাবার আদর্শ –সহানুভূতি, সততা এবং কার্যকর নেতৃত্ব–আমাকে প্রতিটি পদক্ষেপে পথ দেখায়।
এলাকার নেতৃত্বে এক নতুন অধ্যায়ের আহ্বান জানিয়ে সাবিনা বলেন, এখন পরিবর্তনের সময়। আমি আপনাদের সমর্থন, বিশ্বাস এবং দোয়া চাই – যেন আমরা সবাই মিলে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারকে একটি মডেল এলাকায় রুপান্তর করতে পারি।