
উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরলেন বিক্ষুব্ধ রাবি শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে চার ঘণ্টা উত্তাল ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।
প্রক্টর লিয়াকত আলীকে প্রত্যাহার, ছাত্র নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের, নিহত ছাত্রের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি রাবি উপাচার্য মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় হিমেল এক বন্ধুসহ ক্যাম্পাস থেকে হলে ফিরছিলেন। হিমেলের মৃত্যুর খবরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি ট্রাক ও নির্মাণ শ্রমিকদের ঘরে আগুন দেয়।
শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
নিহত মাহমুদ হাবিব হিমেলের বাড়ি বগুড়ায়। হিমেলের বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা দুই সন্তানসহ নাটোরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মোটরসাইকেলে হিমেলের সঙ্গে থাকা রায়হান প্রামাণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাত ১২টার পর ক্যাম্পাসে যান। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে অনিরাপদ ও অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণকাজ চলছে। যার কারণে এ দুর্ঘটনা। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার পর প্রক্টরকে জানানো হলে তিনি মিটিংয়ের অজুহাত দিয়ে ঘটনাস্থলে যাননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সব নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। চালক গ্রেপ্তার ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’