
জানুয়ারিতে করোনায় প্রাণ হারানো ৭৩ শতাংশ ভ্যাকসিন নেননি
গত জানুয়ারি মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ৭৩ জনই করোনা টিকা নেননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময় তিনি জানান, গত ডিসেম্বরে করোনায় মারা গিয়েছিলেন ৯১ জন। আর জানুয়ারি মাসে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। জানুয়ারি মাসে মৃতদের ৭৩ শতাংশই করোনার টিকা নেননি।
তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে কারা ভ্যাকসিন পেয়েছেন এবং কারা পাননি সেই সম্পর্কে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে গত জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত মোট যে মৃত্যু দেখেছি, তার প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি। বাকিরা সবাই ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এছাড়া, প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন ১৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৬১ জন।
ডা. নাজমুল আরও বলেন, ওমিক্রনের নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছে, তারও একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণাকে উদ্ধৃত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে জানিয়েছে, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি কিন্তু আগের তুলনায় বেশি সংক্রামক হতে পারে। আর বেশি সংক্রামক হলে ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
ডা. নাজমুল বলেন, আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। রোগীর সংখ্যা কোনোভাবেই যাতে না বাড়ে সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। আমরা যদি বয়স অনুপাতে মৃত্যুর হার দেখি তাহলে দেখা যাবে, সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ৬১ বছর থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত বয়সীরা। বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগটিতে ১২ হাজার ৪৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতকরা হিসেবে সেটি প্রায় ৪৩ দশমিক ৮০ শতাংশের বেশি।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ ধরে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত ৩০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে। দৈনিক ১০ থেকে ১৫ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছেন। হাসপাতালে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি হবে।
ওমিক্রনের নতুন উপধরন আরও বেশি সংক্রামক
করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রনের একটি উপধরন (বিএ.২) বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে।
আজকের বুলেটিনে তিনি বলেন, কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে, ওমিক্রনের মূল ধরনের চেয়ে উপধরন ‘বিএ.২’ অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে। এতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। রোগীর সংখ্যা যেন না বাড়ে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।