
ব্যবসায়ী মহসিনের লাইভে আত্মহত্যা: ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার ৭ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর বাড়ির মহসিন খানের নিজ বাসায়। ঘটনাস্থলে পিস্তলের লাইসেন্স এবং কাফনের কাপড়ও পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার ভিডিও দ্রুতই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ বলছে, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে খুবই হতাশাগ্রস্ত ছিলেন আবু মহসিন খান। যাঁদের কাছ থেকে টাকা পেতেন, তারাই উলটা তাঁর নামে মামলা করেছে।
আবু মহসিন খানের বড় মেয়ে তিনা চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজের স্ত্রী; তাঁরা রাজধানীর বনানীতে থাকেন। নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী ছোট ছেলে নিশানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। নিজ সন্তানদের প্রতি ফেসবুক লাইভে ক্ষোভের কথা জানালেও আত্মহত্যার ঠিক আগে তাদের প্রতি দিয়েছেন বাবা হিসেবে শেষ উপদেশ।
মহসিন খানের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসিন খান। রাত ৯টার দিকে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জানিয়েছেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে টাইপ করা সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি। এছাড়া দরজার সামনে লেখা ছিল ‘মামা দরজা খোলা হাতলের হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে ভিতরে ঢুক’। সুইসাইড নোটগুলো ধানমন্ডি ক্রাইম টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সিআইডির কাছে রয়েছে।