
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের প্রতি শ্রদ্ধায় বসছেন না সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ।
সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি আজ জারি করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিষ্টার মো: রুহুল কুদ্দুস (কাজল) জানান, ‘সদ্য প্রয়াত বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার ৪ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৬টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বিচারপতি নাজমুল আহাসান। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারপতি নাজমুল আহাসানের জানাজা সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। পরে আরো একটি জানাজা শেষে বরিশাল মুসলিম কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণে সেখানে ভর্তি ছিলেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান।
সুপ্রিমকোর্টে তার জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আপিল বিভাগের বিচারপতিগন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগন, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। জানাজার আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস (কাজল) ও মরহুম বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের একমাত্র ছেলে তাইম হাসান প্রান্ত দোয়া চেয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা রাখেন।
জানাজার পরে প্রধান বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানসহ হাইকোর্টের চার বিচারপতিকে গত ৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। অন্য তিনজন হলেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
এই নিয়োগ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শপথ গ্রহনের মধ্য দিয়ে এ নিয়াগ কার্যকর হবে। নিয়োগের পরদিন তিন বিচারপতি শপথ নিলেও অসুস্থতার জন্য শপথ নিতে পারেননি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। অবশেষে মৃত্যুর কাছে তাকে হার মানতে হলো।
হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে বহু জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা তিনি নিস্পত্তি করেন। আইনজীবীদের কাছে তিনি ভীষণ প্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গনে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।