
ট্রাকচালকদের বিক্ষোভ বন্ধ করতে হবে: ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার ট্রাকচালকদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় টিকাদান সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে শত শত ট্রাক চালক বিক্ষোভ করে আসছে। তাদের ডাকা বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে দেশটির রাজধানী অটোয়া। এ প্রেক্ষিতে রোববার শহরটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সপ্তাহ ধরে আইসোলেশনে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। আইসোলেশন থেকে হাউজ অব কমন্সে ফিরে এক জরুরি বিতর্কে ট্রুডো বলেন, এটি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, এই মহামারি সকল কানাডিয়ানকে চুষে খাচ্ছে। কিন্তু কানাডিয়ানরা জানে বিজ্ঞান মেনে কিভাবে একে প্রতিহত করা যায়।
তিনি রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার করেন।
এর আগে অটোয়ার মেয়র জিম ওয়াটসন ক্দ্রেীয় সরকারের কাছে ১৮’শ অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
অটোয়ার মেয়র জিম ওয়াটসন বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের কারণে গোটা শহর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় পুলিশের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। বিক্ষোভ নগরবাসীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তবে, এ জরুরি অবস্থা কতদিন বা কতক্ষণ থাকবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি মেয়র জিম ওয়াটসন। যাঁরা আন্দোলনকারীদের সহায়তা করছেন তাদেরকে আটক করা হতে পারে এবং নিরাপত্তাকাজে ও জরুরি বিভাগে নিয়োজিতেরা প্রয়োজনীয় বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান মেয়র।
অটোয়ার মূল মূল সড়কে ট্রাক রেখে সড়ক আটকে ব্যারিকেড গড়ে তুলে আন্দোলন করছেন ট্রাকচালকেরা। এ ব্যারিকেডকে ‘ফ্রিডম কনভয়’ বলছেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভে হাজার হাজার ট্রাক নিয়ে অংশ নেন চালকরা। তারা প্রতিবাদে হর্ন বাজাতে থাকেন অনবরত। ফলে অটোয়া এক প্রচণ্ড কোলাহলের শহরে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা যেসব ট্রাকচালকের টিকা নেয়া থাকবে না তাদের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করে কানাডার সরকার। এর প্রতিবাদে গত ৯ জানুয়ারি থেকে ট্রাক চালকরা ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে বিক্ষোভ শুরু করে।