
ইউক্রেন সংকট বাড়াবে না রাশিয়া, পুতিনের আশ্বাস
ইউক্রেন ইস্যুতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সাথে আলোচনার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন প্রশ্নে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সৃষ্ট সংকটের ক্ষেত্রে আপোসের উপায় খুঁজে বের করতে মস্কো তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। পুতিন আরও বলেন, ‘এ সংকট নিরসনের উপায় খুঁজে বের করতে আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, আমরা তার সবকিছু করবো, যা সকলের জন্য ভাল হবে।’ খবর এএফপি’র।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থানে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন, ইউক্রেনের কাছে আপাতত নতুন কোনো সামরিক কর্মকাণ্ড শুরু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের পর ইউক্রেন সংকট এড়াতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের চুক্তির বিষয়টি ক্রেমলিন অস্বীকার করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মস্কো এবং প্যারিস কোনও চুক্তিতে পৌঁছতে পারে না।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরও বলেন, ইউরোপীয় মহাদেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে তাতে ‘কেউ বিজয়ী’ হবে না।
রাশিয়ার এ নেতা জোরদিয়ে বলেন, ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ রাখাসহ মস্কোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দাবি প্রত্যাখান করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনেকরি না যে আমাদের সংলাপ শেষ হয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ন্যাটো ও ওয়াশিংটনকে রাশিয়া শিগগিরই একটি বার্তা পাঠাবে।
তিনি জোরদিয়ে বলেন, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যস্থতায় করা মিনস্ক চুক্তিকে সম্মান দেখানো উচিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, পুতিন যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারেন ইউক্রেনে। যদিও সে বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়ার পুতিন সরকার। রাশিয়া থেকে সরাসরি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের জন্য ‘নর্ড স্ট্রিম-টু’ পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ চলছে। এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে এবার সেই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে রাশিয়াকে সেই গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জার্মানি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য বলছে, ১৯৭০ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইউরোপ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি শুরু করে। সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে সেই নির্ভরতা আরও বেড়েছে। বছরে এখন ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরোপে সরবরাহ করে রাশিয়া।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি