
ওমিক্রন শনাক্তের পর বিশ্বে ৫ লাখ মৃত্যু: ডব্লিওএইচও
বিশ্বে ওমিক্রন শনাক্তের পর এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতো বিশালসংখ্যক প্রাণহানিকে দুঃখজনক মাইলফলক বলেও অভিহিত করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
সংস্থার ইন্সিডেন্ট ব্যবস্থাপক আবদি মোহাম্মদ বলেছেন, গত নভেম্বরের শেষে ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক ধরন হিসেবে ঘোষণার পর বিশ্বে ১৩ কোটি লোক এতে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে পাঁচ লাখ লোক।
তিনি বলেন, সবাই যখন বলছে ওমিক্রন তীব্র নয়, কিন্তু তারা একটি বিষয় মিস করছে যে এটি শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত এতে পাঁচ লাখ লোক মারা গেছে। এটি সত্যিই অতি মর্মান্তিক।
ওমিক্রন শনাক্তের পর এটি ডেল্টা ধরনকে টপকে গেছে। এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়েছে, কারণ ওমিক্রন খুবই সংক্রামক। যদিও এতে তীব্র অসুস্থ হওয়ার কারণ নেই।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের অধিকাংশেরই কেবল হালকা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলোতে আলোচনার সময় আবদি মাহমুদ আরও বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিনের এই যুগে (ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে) পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেল। এটা আসলেই চিন্তার বিষয়।’
হতিনি বলেন, ‘যারা বলছেন- ওমিক্রন করোনার ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দুর্বল, তারা হয়তো এই পয়েন্টটি ভুলে গেছেন যে- ভাইরাসের এই ধরনটি শনাক্তের পর থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছেন।’
ডব্লিউএইচও’র কোভিড-১৯ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, আমরা এখনও চলমান মহামারির মাঝামাঝি পর্যায়ে আছি। তবে আমি আশা করি আমরা হয়তো মহামারির অবসানের কাছাকাছি চলে এসেছি। বিশ্বের অনেক দেশ এখনও ওমিক্রনে সংক্রমণের চূড়া অতিক্রম করেনি।
তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্বে করোনায় প্রাণহানি বেড়েছে এবং ভাইরাসের বিপজ্জনক আচরণ অব্যাহত থাকবে।