
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে শিথিল হচ্ছে কোভিড নিয়ম
কানাডায় ট্রাক চালকদের বিক্ষোভ আরো কঠোর হয়েছে। আন্দোলনে রাজধানী অচল হয়ে পড়লেও তাদের পিছু হটার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
কিন্তু দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে কোভিড নিয়ম শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় সাসকাচোয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, মহামারী নিয়ন্ত্রণে আরোপ করা সকল বিধিনিষেধ তুলে নিতে তারা প্রস্তুত।
এছাড়া কুইবেক ও আলবার্টাও নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আভাস দিয়েছে।
এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও তার স্বর পরিবর্তন করে বলেছেন, সবাই কতোটা হতাশ। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সময় আসছে। যদিও একদিন আগে তিনি কড়া সুরে আন্দোলন বন্ধের কথা বলেছিলেন।
ট্রুডো বলেন, বিধিনিষেধে আমরা সকলেই ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কিন্তু টিকা বাধ্যতামূলক হলো আরো বিধিনিষেধ এড়ানোর উপায়।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সপ্তাহ ধরে আইসোলেশনে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। আইসোলেশন থেকে হাউজ অব কমন্সে ফিরে এক জরুরি বিতর্কে ট্রুডো বলেন, এটি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, এই মহামারি সকল কানাডিয়ানকে চুষে খাচ্ছে। কিন্তু কানাডিয়ানরা জানে বিজ্ঞান মেনে কিভাবে একে প্রতিহত করা যায়।
তিনি রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য, জাস্টিন ট্রুডোর সরকার গত ১৫ জানুয়ারি আন্ত:সীমান্ত ট্রাকচালকদের জন্য করোনার টিকাসংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এর আওতায় কানাডার যে ট্রাকচালকেরা টিকা নেননি, তাঁদের ট্রাক নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফেরার পর প্রতিবারই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এতে ট্রাকচালকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে অটোয়ায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে।
এদিকে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অটোয়ার মেয়র রোববার শহরটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে।
তবে জরুরি অবস্থা সত্ত্বেও মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের কানডার পতাকা ও ট্রুডো বিরোধী পতাকা হাতে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
অটোয়ার ডেপুটি পুলিশ প্রধান স্টিভ বেল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার এজেন্টরা ২২ জনকে আটক করেছে।