৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়তে আমেরিকানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় নিজ দেশের নাগরকিদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়ার লাইভ-ফায়ার ড্রিল এবং সাবেক সোভিয়েত এই দেশটির চারপাশে রুশসেনা মোতায়েন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন আতঙ্ক আরো নিশ্চিত করে তুলেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরতে এ সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।
এর আগে নিজ দেশের নাগরকিদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশনা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করলে আমেরিকানদের উদ্ধারে সেনা পাঠাবেন না বলেও গত বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীগুলোর একটির সাথে কাজ করছি। এটি খুব ভিন্ন পরিস্থিতি এবং দ্রুত এটি খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে।”
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য রুশ বাহিনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। যদিও আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুই বলতে পারবো না, তবে সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে গেছে।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখ সৈন্য অবস্থান করলেও আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলছে মস্কো। শুধু তাই নয় রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সঙ্গে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মইত্রো কুলেবা অভিযোগ করে বলেছেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী আজভ সাগর অবরোধ করে রেখেছে এবং কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের শিগগির ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে। একই ঘোষণা দিয়েছে কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস ও লাটভিয়া সরকার।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করছে। ক্রেমলিন বলছে যে তারা পুরোনো সোভিয়েত প্রতিবেশী যাতে ন্যাটোতে যোগ না দেয় তা নিশ্চিত করতে শুধু সতর্ক বার্তা দিচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি