
ইউক্রেনে হামলা করলে চড়া মূল্য দিতে হবে, ফোনালাপে পুতিনকে বাইডেন
ইউক্রেনে হামলা করলে রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে হামলার মতো কোনো পদক্ষেপ নিলে মস্কোকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হবে এবং (সারা বিশ্ব) থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। যদিও উত্তেজনা হ্রাসের আশা ক্ষীণ দেখে, নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্মানিসহ অনেক দেশ।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টা ৪ মিনিটে (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ভিডিও কল দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ফোনালাপে, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরিণতির বিষয়ে পুতিনকে সতর্ক করেন বাইডেন।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
বাইডেন পুতিনকে বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে ওয়াশিংটন এবং এর মিত্ররা ‘সক্রিয়ভাবে’ জবাব দেবে। সেক্ষেত্রে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে রাশিয়াকে।”
ফোনালাপ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র এখনও কূটনৈতিক আলোচনায় আস্থা রাখছে, তবে একইসঙ্গে ‘অন্য পরিস্থিতির’ প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোমিদির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যেকোনো দিনই রাশিয়া আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। তাই আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। কারণ ২০১৪ সালেও কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল না যে, তারা আমাদের ওপর হামলা চালাবে। তাই এবার আর সে ভুলটা করতে চাই না। এজন্যই সেনাবাহিনী নিজেদের প্রস্তত করছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে রাশিয়া। হামলার আশঙ্কায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এক ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
যদিও রাশিয়া বলছে ভিন্ন কথা। মস্কো’র দাবি, আগ বাড়িয়ে কোনো সংঘাতে জড়াবে না তারা। যুদ্ধ বাঁধাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তারা, মার্কিন গণমাধ্যম উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ রুশ পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার। যদিও সীমান্তে বেলারুশকে সঙ্গে নিয়ে দশ দিনব্যাপী সামরিক মহড়া চালাচ্ছে রাশিয়া।