
কম সিলেবাস-কম নম্বরে পরীক্ষা হওয়ায় ভালো ফলাফল হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন।
এবার সর্বমোট ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ছয় হাজার ৭১৮ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ২৭ হাজার ৩৬২ জন।
ফলাফল প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘কম সিলেবাসে ও কম নম্বরে পরীক্ষা হওয়ার কারণে ভালো ফলাফল হয়েছে। এছাড়া আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে বলেই তারা ভালো ফলাফল করেছে।’
আজ রোববার সকালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
যে পরিমাণে শিক্ষার্থী পাস করেছে, তাতে
এ সময় ফলাফল ভালো হওয়ায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংকট হবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মনে হয় না আসন সংকট হবে। আমাদের যে চিন্তা, সবাইকে অনার্স-মাস্টার্স করতে হবে, এটা বিশ্বের কোথাও হয় না।’
ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যে সিলেবাসের ওপর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হয়েছে, সে সিলেবাসেই ভর্তি পরীক্ষাগুলো হওয়া উচিত, না হলে শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে।’
গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন শিক্ষার্থীদের যেতে না হয়, সে বিষয়টি আমরা বিবেচনায় রাখব। যেকোনো একটি পদ্ধতি প্রথমে চালু হলে, সেটি মসৃণ হতে কিছু সময় লাগবে।’
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ‘করোনার কারণে যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পাঠদান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি, তাই ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে৷ এছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। আমরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিয়েছি। তবে আমরা মূল যে বিষয়গুলো আছে, সেসব বিষয়গুলোতে পরীক্ষা নিয়েছি।’
পরবর্তী এসএসএসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনই বলা যাচ্ছে না। আশা করছি, বছরের মাঝামাঝি সময়ে নিতে পারব। সুনির্দিষ্টভাবে তারিখ বলা সম্ভব নয়।’