
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইউক্রেনবাসীর বিক্ষোভ
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। এ আশঙ্কার মধ্যেই নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রকাশে কয়েক হাজার ইউক্রেনবাসী স্থানীয় সময় শনিবার রাজধানী কিয়েভে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের নেতা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে রুশ আগ্রাসনের হুমকির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে রাজপথে নামেন হাজারও ইউক্রেনবাসী।
ইউক্রেনীয়রা শনিবার কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হয়ে ‘ইউক্রেনের গৌরবের জয় হোক’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় তাঁদের হাতে ছিল ইউক্রেনের পতাকা ও ব্যানার। যাতে লেখা ছিল—‘ইউক্রেনীয়রা প্রতিরোধ গড়বে’ এবং ‘হানাদারদের অবশ্যই মরতে হবে’।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চলে একটি পুলিশ মহড়ায় অংশ নেন। সেখানে তিনি স্বীকার করেন যে, রাশিয়া যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তবে, তিনি বড় ধরনের যুদ্ধ আসন্ন বলে মনে করেন না। বরং বড় যুদ্ধের খবরকে বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে রাশিয়া। হামলার আশঙ্কায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এক ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এদিকে ইউক্রেনে হামলা করলে রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমাদের শত্রুদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হলো— আমাদের দেশে সৃষ্ট কোনো আতঙ্ক। এবং (সম্ভাব্য রুশ হামলার) যাবতীয় তথ্য কেবলই আতঙ্কের উদ্রেক করছে। এতে কিন্তু আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না।’
‘এখনও যা ঘটেইনি, তার সঙ্গে আমি তো একমত বা দ্বিমত পোষণ করতে পারি না। এখন পর্যন্ত, ইউক্রেনে কোনো পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ বাঁধেনি’, যোগ করেন জেলেনস্কি।