
ইউক্রেনের রাজধানী থেকে সরানো হচ্ছে মার্কিন দূতাবাস
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই লাখের উপরে সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সারা বিশ্ব। এ আশঙ্কার মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানান্তর করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভে।
গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাস কিয়েভ থেকে সরিয়ে নেওয়া হলেও ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান সংকট সামাল দিতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
একই সঙ্গে ইউক্রেনে এখনও অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদের দেশটি থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার মাথাব্যথার মূলে রয়েছে ন্যাটো। ২০০৮ সালে ন্যাটো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, একসময় ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে ইউক্রেন। এ প্রতিশ্রুতিরই প্রত্যাহার চায় রাশিয়া।
ইউক্রেন যদি ন্যাটোয় যোগ দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী রুশ সীমান্তে চলে আসবে।
এ প্রসঙ্গে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেন এমন পদক্ষেপ নিলে তা পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে।
ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভ রাশিয়ার সীমান্তের কাছকাছি। অন্যদিকে, লাভিভ শহর পোল্যান্ড সীমান্তের ৫০ মাইল দূরত্বে অবস্থিত। আর কিয়েভ থেকে লাভিভের দূরত্ব ৩০০ মাইল।