
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কুমিল্লার তৃতীয় শিরোপা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে রুদ্ধাশ্বাস ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ১ রানে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা জিতল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দুই দলের লড়াই হলো একদম শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালকে করতে হতো ৩ রান। কিন্তু মাত্র ১ রান নিতে পেরেছেন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়। এতে ১ রানের জয়ে তৃতীয়বারের মতো বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আগে ব্যাট করে কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ১৫১ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩ বলে ৫৭ রান করেছিলেন সুনিল নারিন। বিপরীতে পুরো ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে থেমেছে বরিশালের ইনিংস। বল হাতেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার জয়ের নায়ক সুনিল নারিন।
এ ম্যাচ জয়ের ফলে বিপিএলের আট আসরে তৃতীয়বার শিরোপার স্বাদ পেল কুমিল্লা। ম্যাচের শেষ অংশটুকু বাদ দিলে পুরো ম্যাচই প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে বরিশাল। তবে ওই যে প্রচলিত কথায় যে আছে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। শেষটাই তো ভালো করতে পারলো না ফরচুন বরিশাল। শেষ ১৮ বলে ১৮, শেষ ওভারে ১০ এবং শেষ বলে ৩ রানও যে করতে পারলো না তারা। দিন শেষে শিরোপার হাসি ইমরুল কায়েসের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।
অথচ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও মাত্র ১৫১ রানে থামে কুমিল্লা। ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বরিশালের। ইনফর্ম মুনিম শাহরিয়ার আজ ৭ বল খেলে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর ব্যাট হাতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন সৈকত। ব্যাটিং দানবের খেতাব কুড়ানো ক্রিস গেইলকে একপাশে দর্শক বানিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তিনি।
পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৫১ রান তোলে বরিশাল। খানিক পর টুর্নামেন্টের নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পান সৈকত। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। যদিও ইনিংসটাকে পরে আর টানতে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার তানভীরের বলে ইমরুলে কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজ ঘরে। যাওয়ার আগে ১১টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ৩৪ বলে খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। তখন বরিশালের স্কোর্ডবোর্ডে ৭৯ রান।
সৈকত ফেরার পর দলের হাল ধরেন গেইল। দলের চাহিদা অনুযায়ী ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। ইনিংসের ১৩তম ওভারে গেইলকে আউট করেন তারই জাতীয় দলের সতীর্থ নারাইন। লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে গেইল সাজঘরের পথ ধরেন ৩১ বলে ৩৩ রানে। যেখানে ১টি চারের সঙ্গে ছক্কা হাঁকান ২টি। অধিনায়ক সাকিব অবশ্য আজ সুবিধা করতে পারেননি, মুস্তাফিজ দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে ফেরান সাকিবকে। ৭ বলে ৭ রান করেন সাকিব।
সাকিবের আউটের পর মোমেন্টাম ফিরে পায় কুমিল্লা। নুরুল হাসান সোহান রান আউটে কাটা পড়েন ১৪ রানে। সুবিধা করতে পারেন ব্রাভো আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্রাভো ১ আর শান্ত আউট হন ১৫ বলে ১২ রানে। ৭ উইকেট হারানো বরিশালের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১০ রান। শেষ বলে ৩ রান দরকার পড়লে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন মুজিব উর রহমান। ১ রানে রোমাঞ্চকর জয় শিরোপা ঘরে তোলে কুমিল্লা।
এ ম্যাচ জয়ের ফলে বিপিএলের আট আসরে তৃতীয়বার শিরোপার স্বাদ পেল কুমিল্লা। ম্যাচের শেষ অংশটুকু বাদ দিলে পুরো ম্যাচই প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে বরিশাল। তবে ওই যে প্রচলিত কথায় যে আছে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। শেষটাই তো ভালো করতে পারলো না ফরচুন বরিশাল। শেষ ১৮ বলে ১৮, শেষ ওভারে ১০ এবং শেষ বলে ৩ রানও যে করতে পারলো না তারা। দিন শেষে শিরোপার হাসি ইমরুল কায়েসের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।
অথচ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও মাত্র ১৫১ রানে থামে কুমিল্লা। ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বরিশালের। ইনফর্ম মুনিম শাহরিয়ার আজ ৭ বল খেলে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর ব্যাট হাতে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন সৈকত। ব্যাটিং দানবের খেতাব কুড়ানো ক্রিস গেইলকে একপাশে দর্শক বানিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তিনি।
পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৫১ রান তোলে বরিশাল। খানিক পর টুর্নামেন্টের নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পান সৈকত। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। যদিও ইনিংসটাকে পরে আর টানতে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার তানভীরের বলে ইমরুলে কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজ ঘরে। যাওয়ার আগে ১১টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ৩৪ বলে খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। তখন বরিশালের স্কোর্ডবোর্ডে ৭৯ রান।
সৈকত ফেরার পর দলের হাল ধরেন গেইল। দলের চাহিদা অনুযায়ী ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। ইনিংসের ১৩তম ওভারে গেইলকে আউট করেন তারই জাতীয় দলের সতীর্থ নারাইন। লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে গেইল সাজঘরের পথ ধরেন ৩১ বলে ৩৩ রানে। যেখানে ১টি চারের সঙ্গে ছক্কা হাঁকান ২টি। অধিনায়ক সাকিব অবশ্য আজ সুবিধা করতে পারেননি, মুস্তাফিজ দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে ফেরান সাকিবকে। ৭ বলে ৭ রান করেন সাকিব।
সাকিবের আউটের পর মোমেন্টাম ফিরে পায় কুমিল্লা। নুরুল হাসান সোহান রান আউটে কাটা পড়েন ১৪ রানে। সুবিধা করতে পারেন ব্রাভো আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্রাভো ১ আর শান্ত আউট হন ১৫ বলে ১২ রানে। ৭ উইকেট হারানো বরিশালের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১০ রান। শেষ বলে ৩ রান দরকার পড়লে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন মুজিব উর রহমান। ১ রানে রোমাঞ্চকর জয় শিরোপা ঘরে তোলে কুমিল্লা।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দরকার মাত্র ১৬ রান। তবে মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহিদুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত আর জয় পাওয়া হয়নি বরিশালের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫০ রান তুলতে পারে বরিশাল।
কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সুনিল নারিন এবং তানভির ইসলাম। আর একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহিদুল ইসলাম।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সুনিল নারিনের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভার; ১৫১/০; (নারিন ৫৭, লিটন ৪, জয় ৮, ডু প্লেসিস ৪, ইমরুল ১২, মঈন ৩৮, রনি ১৯, শহিদুল ০, তানভির ০, মোস্তাফিজ ০); (মুজিব ৪-০-২৭-২, শফিকুল ২-০-২৪-০, সাকিব ৪-০-৩০-১, ব্রাভো ৪-০-২৬-১, রানা ৪-০-৩৪-১)।
ফরচুন বরিশাল: ১৫০/৮; ২০ ওভার; (মুনিম ০, গেইল ৩৩, সৈকত ৫৮, সোহান ১৪, সাকিব ৭, শান্ত ১২, ব্রাভো ১, হৃদয় ৯, মুজিব ৪); (মোস্তাফিজ ৪-০-৩০-১, শহিদুল ৪-০-৩৬-১, নারিন ৪-০-১৫-২, মঈন ২-০-২১-০, রনি ১-০-১৪-০, তানভির ৪-০-২৫-২)।
ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১ রানে জয়ী।