যুক্তরাজ্যে ইউনিসের আঘাতে প্রাণ গেল ৯ জনের
শক্তিশালী ঝড় আঘাত হেনেছে যুক্তরাজ্যে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের তাণ্ডবে দুই লাখেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙেছে গাড়ি, উপড়ে গেছে গাছ। ঝড়ে এ পর্যন্ত অন্তত নয় জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
আবহাওবিদেরা জানাচ্ছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এমন বিধ্বংসী ঝড় যুক্তরাজ্যে দেখা যায়নি।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কর্নওয়ালে আছড়ে পড়ার পর পশ্চিম ইংল্যান্ডে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে ইউনিস। ঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সমুদ্র, তীরে একের পর এক আছড়ে পড়েছে বিশাল বিশাল ঢেউ।
সংবাদমাধ্যম ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে—শুক্রবার লিভারপুলে ঝড়ের তাণ্ডবে গাড়ি উলটে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডে ৬০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার ওপর গাছ ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। ঝড়ের বেগে লন্ডনের ও-টু অ্যারেনা স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে গেছে। একাধিক বাড়ি তছনছ হয়ে গেছে। বিপর্যস্ত পরিবহণ ব্যবস্থাও।
ওয়েলসের অ্যাবারিস্টউইথে বাড়ির সমান উঁচু বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য প্রাচীন গাছ। তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন লক্ষাধিক মানুষ।
ব্রিটিশ আবহাওয়া সংস্থা মেট অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ ফ্রাঙ্ক সন্ডার্স বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইউনিস সত্যিই জোরালো আঘাত হেনেছে। আমরা কেবল প্রাণহানির আশঙ্কা দেখলেই লাল সংকেত জারি করি।
অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে—লিভারপুল, কর্নওয়াল, আয়ারল্যান্ড ইত্যাদি স্থানে ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব। লন্ডন ও দক্ষিণ ইংল্যান্ডের একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। পরিষেবা সচল রাখা এবং উদ্ধারকাজ পরিচালনায় কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন।
ঝড়ের কারণে একের পর এক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। লন্ডনের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে সব মিলিয়ে দুই লাখ মানুষ আটকে পড়েন।