
ইউরোপে ইউনিস ঝড়ে ১৩ জনের মৃত্যু
ইউনিস ঝড়ের পর জরুরি কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ব্রিটেনের কয়েক হাজার বাড়িতে বিদুৎ সংযোগ পুনরূদ্ধার করেছে। একই সাথে পরিবহন নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ায় পশ্চিম ইউরোপ জুড়ে যাতায়াতে এক মারাত্মক অবস্থা দেখা দিয়েছে।
জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি ও পোল্যান্ডে উপড়ে পড়া গাছপালা ও উড়ে আসা ধ্বংসাবশের নীচে চাপা পড়ে ও দমকা হাওয়ায় অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। খবর এএফপি’র।
ঘণ্টায় ১৯৬ কিলোমিটার বেগে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙেছে গাড়ি, উপড়ে গেছে গাছ। ঝড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
আবহাওবিদেরা জানাচ্ছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এমন বিধ্বংসী ঝড় দেখা যায়নি।
ইউনিস শুক্রবার আঘাত হানায় ইংল্যান্ডে প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৯৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। এতে বেশিরভাগ পরিবহন নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়ায় ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ায় ব্রিটেনের ট্রেন অপারেটররা পূর্বের সময়সূচী অনুসরণ করে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউনিসের প্রভাবে নেদারল্যান্ডসের ট্রেন নেটওয়ার্কও অচল হয়ে পড়েছে। ফ্রান্সের রেলযোগাযোগও ব্যহত হয় এবং প্রায় ৭৫ হাজার পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
১৯৮৭ সালে ব্রিটেন ও উত্তর ফ্রান্সে “গ্রেট স্টর্ম” আঘাত হানার পর সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঝড়ে যুক্তরাজ্যে দেশব্যাপী প্রায় ৪০০,০০০ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, শুক্রবার প্রথমবারের মতো লন্ডনের আবহাওয়া “লাল” সতর্কতা জারি করে।
ব্রিটেনের আবহাওয়া পরিষেবা অফিস, শনিবার ইংল্যান্ড এবং সাউথ ওযলেসের দক্ষিণ উপকূলের বেশিরভাগ এলাকার জন্য কম গুরুতর “হলুদ” সতর্কতা জারি করেছে।