
জার্মানি-অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ
ইউক্রেনের পরিস্থিতি চূড়ান্ত অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় সবচেয়ে ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া। পাশাপাশি নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছে দেশ দুইটির সরকার। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া আক্রমণ চালালে নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য খুব সীমিত বিকল্প পথ থাকবে।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তরও পরিস্থিতি অবনতির কথা জানিয়ে একইভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। আমরা এ সংকট সমাধানে রাশিয়াকে উত্তেজনা কমানোর জন্য নতুন করে আহ্বান জানাচ্ছি। এরপরই ইউরোপের দেশ জার্মানি ও অস্ট্রিয়া থেকে এমন ঘোষণা এলো।
জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরাইল তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরত নিয়ে গেছে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় রাশিয়া।
সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করার পরও ইউক্রেনে কোনো আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনার কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
তবে প্রতিবেশী বেলারুশের সঙ্গে বড় আকারের সামরিক মহড়া শুরু করেছে মস্কো।
রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
এ সামরিক মহড়া উপলক্ষ্যে বেলারুশে যে সৈন্য সমাবেশ করেছে, রাশিয়া তাকে স্নাযুদ্ধের পর বৃহত্তম মহড়া বলে ধারণা করা হচ্ছে।উক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি আরও প্রায় ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরণের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো।