
ইউক্রেন উত্তেজনা: পুতিনের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষ বৈঠকে বসতে রাজি বাইডেন
ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক বিবৃতি এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
জেন সাকি জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভের মধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠাতব্য বৈঠকের পর পুতিন-বাইডেনের বৈঠক হতে পারে।
পুতিন ও বাইডেনের মধ্যকার প্রস্তাবিত শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তাবটি এসেছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছ থেকে।
ফ্রান্স ধারণা করছে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ পাবে ইউরোপ।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইউরোপে নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতা নিয়ে এক বৈঠকের জন্য উভয় নেতাকে প্রস্তাব দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে বাইডেন ‘নীতিগতভাবে’ বৈঠকে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন।
এর আগে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার লাগাম টানতে রাজি হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্ত্রবিরতির জন্য কাজ করতে সম্মতি জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রায় ১০৫ মিনিট ধরে টেলিফোনে আলোচনা করেন ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তাঁরা চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে এবং তা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার ব্যাপারে একমত হন বলে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
এরপর স্থানীয় সময় রোববার রাতে জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘(ফ্রান্সের বিবৃতির ফলশ্রুতিতে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন নীতিগতভাবে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। তবে শর্ত থাকছে—রাশিয়া যদি (ইউক্রেনে) কোনো হামলা না চালায়।’
‘আমরা কূটনৈতিক আলোচনার জন্য সদা প্রস্তুত। এবং রাশিয়া যদি কূটনীতির পরিবর্তে যুদ্ধ বেছে নেয়, তাহলে আমরা দ্রুত ও গুরুতর পরিণতি নিশ্চিত করতেও প্রস্তুত রয়েছি। আর এ মুহূর্তের পরিস্থিতি হলো, রাশিয়া খুব শিগগির ইউক্রেনের ওপর পূর্ণ মাত্রার হামলার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে’, যোগ করেন জেন সাকি।