লন্ডনে শিশু সন্তানকে মেরে মায়ের আত্মহত্যা
লন্ডনে দুই বছরের মেয়েকে মেরে মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির স্থানীয় একটি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। যার তদন্ত রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট লন্ডন কোর্ট।
মেট্রো পলিটন পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায়, আত্মহত্যা করা মা সোয়ানজি বেগোয়ান ২০১৭ সালেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সেই সময় তিনি বেঁচে গেলেও এবার সেই একই ঔষধ খেয়ে প্রাণ হারায় সোয়ানজি।
সোয়ানজি ইউনিভার্সিটি কলেজ হাসপাতাল এনএইচএসের এনেস্থেসিয়ার এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। তাকে নিজ ঘরের মধ্য থেকে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর মেয়ে জিয়ানাসহ মৃত উদ্ধার করা হয়।
তদন্তে আরও জানা যায়, আত্মহত্যার আগে সোয়ানজি হাসপাতাল থেকে কিছু মেডিসিন চুরি করে। ঠিক একই ধরনের মেডিসিন সে ২০১৭ সালেও চুরি করেছিলো। ২০১৭ সালের ঘটনার পর তদন্ত ও চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দুই বছর পর ২০২০ সালের জুলাই মাসে আবারও কাজে ফেরে সোয়ানজি।
মৃত্যুর আগে সোয়ানজি এক সুইসাইড নোটও লিখে যান। যেখানে তিনি তার মাকে কষ্ট দেওয়ার জণ্য দু:খ প্রকাশ করেন। সে তার মেয়েকেও তার সাথে নিয়ে যাচ্ছেন বলে মাকে জানান। স্বার্থ পরের মতো মেয়ে জিয়াকে তার মায়ের কাছে রেখে যাচ্ছেন না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন। একই সাথে তিনি তার মাকে আরও লিখেন, এতো দিন এতো কষ্ট দেওয়ার জন্য সরি। আমার ও আমার মেয়ের জন্য তুমি অনেক কিছু করেছো। তিনি তার বাবাকে অনেক মিস করছেন। স্বামীর অদায়িত্বপনাও আর মেনে নিতে পারছেন না তিনি বলেও চিঠিতে জানান।
কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর সকাল ৪টার দিকে সুয়ানজি ও জিয়ানা তাদের বাসা থেকে একই ধরনের কাপর পরা অবস্থায় সর্বশেষ দেখা যায়। এই সময় তিনি ওয়েস্ট মোরিল্যান্ড স্ট্রিট হাসপাতালে অল্প সময়ের জন্য যায়। আর এর তিন দিন পর তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে তাদের পরিবার।
তদন্তে বলা হচ্ছে, হাসপাতাল থেকে মেডিসিন চুরি করে এনে মা তার মেয়েকে খাইয়ে, পরবর্তীতে নিজে খেয়ে আত্মহত্যা করেন।