শ্রীলঙ্কায় আবারও জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ জোরদার হওয়ায় আবারও দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। এর আগে গত মাসের ২ তারিখ প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সে সময় পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে বাধ্য হয়ে সরকারের ২৬ মন্ত্রী একসঙ্গে পদত্যাগ করেন। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, গোটাবায়া রাজাপাকসে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এর আগে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই শুরু হয় বিক্ষোভ ও ধর্মঘট। বন্ধ থাকে স্কুল-কলেজ, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া ধর্মঘটের কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়ে।
এদিকে ছাত্রদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল জাতীয় সংসদের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
করোনা মহামারি, ক্রমবর্ধমান তেলের দাম এবং প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে সরকারের ট্যাক্স কমানোর কারণে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কবলে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। আমদানিকৃত খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতির কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষিপ্তভাবে সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে দেশটির অর্থমন্ত্রী জানান, গোতাবায়ে রাজাপাকসে সরকারের কাছে পাঁচ কোটি ডলারের মতো বৈদেশিক রিজার্ভ অবশিষ্ট রয়েছে।
দেশটির ট্রেড ইউনিয়ন নেতা রবি কুমুদেশ বলেন, রাষ্ট্রপতির ভুল নীতি ও পদক্ষেপের ফলেই এমন দুঃখজনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাই তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
অর্থনৈতিক সংকটে এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রাজাপাকসের পরিবার। হিমশিম খাচ্ছেন মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতে। ঋণের জন্য শরণাপন্ন হচ্ছেন আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, চীন ও ভারতসহ অন্যান্য দাতাদের কাছে। এরই মধ্যে ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে দেশটি। যা ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম ঘটনা। দেশের শেয়ারবাজারও শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে।