ভ্রমণের জন্য কুষ্টিয়ার আকর্ষণীয় চার জায়গা
বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি জেলা কুষ্টিয়া। জেলাটি গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ কুষ্টিয়ায় লালনের আখড়া, রবীন্দ্র কুঠিবাড়িসহ আরও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। চলুন এক নজরে জেনে নিই এ জেলার চার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে-
শিলাইদহ কুঠিবাড়ি
কুমারখালীর শিলাইদহে অবস্থিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির কথা কে না জানে। কুষ্টিয়া জেলার অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা এটি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময় এই কুঠিবাড়িতে অবস্থান করেছেন এবং বাবার জমিদারি দেখাশুনা করেছেন। জমিদারি দেখাশুনার ফাঁকে কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটগল্প ও উপন্যাসও রচনা করেছেন।
লালনের আখড়া
মরমী বাউল সাধক লালন ফকিরের আখড়া সংস্কৃতিপ্রেমী পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় অবস্থিত এ আখড়ায় অসংখ্য বাউলের সান্নিধ্যে আসা যায়। বাংলা ক্যালেন্ডারের ফাল্গুন মাসে দোল পূর্ণিমা উৎসবে সবচেয়ে বেশি লোক জমায়েত হয় এখানে। এছাড়া ১৭ অক্টোবর লালনের জন্মোৎসবকে কেন্দ্র করে ‘লালন মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়।
ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ
মুঘল স্থাপত্যে নির্মিত ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সমাদৃত। ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে ইতিহাসপ্রেমীদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। কুষ্টিয়া শহর থেকে গণপরিবহনে মসজিদটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগবে।
রবীন্দ্র সদন
কুষ্টিয়ার মিলপাড়ায় অবস্থিত রবীন্দ্র সদন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানেও মাঝেমধ্যে অবস্থান করতেন। শিলাইদহ থেকে ১০ মিনিটের পথ এটি। কুষ্টিয়া শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় ঐতিহাসিক স্থাপনা এটি। বর্তমানে এটি মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতিহাস ও সাহিত্যপ্রেমী এবং সংস্কৃতিবান মানুষ এখানে বেশি ভ্রমণ করেন।
যেভাবে যাবেন কুষ্টিয়ায়
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় বাসযোগে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এসবি সুপার ডিলাক্স, শ্যামলী পরিবহনসহ আরও অনেক বাসে ভ্রমণ করা সম্ভব। গভীর রাতে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে যাতায়াত করা যায়। রাজধানী ঢাকার গাবতলী বা কল্যাণপুর থেকে এসব বাস ছাড়ে। ভ্রমণের কয়েক দিন আগে বাসের টিকেট বুকিং করা ভালো।
কোথায় থাকবেন
কুষ্টিয়া শহরে রাতে থাকার জন্য উন্নত মানের হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে দাম একটু বেশি হলেও খাবারের মান ভালো। একসঙ্গে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে যেকোন এসে নিশ্চিন্তে এসব হোটেলে থাকতে পারবেন।