নাতনিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, আত্মহত্যা করলেন মন্ত্রী
তার বিরুদ্ধে নিজ নাতনিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন তারই পুত্রবধূ। সেই অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি ভারতের উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র বহুগুণা। পুলিশকে ডেকে বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করলেন তিনি।
নাতনির শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন তার পুত্রবধূ। তার ঠিক তিনদিন পর আত্মহত্যা করলেন রাজেন্দ্র। খবর এনডিটিভির।
খবরে বলা হয়, সাবেক এ মন্ত্রীর বাড়ি থেকে পুলিশের জরুরি নম্বর ১১২-এ ফোন করে তাঁর আত্মহত্যার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। পুলিশ আসার পর আতঙ্কিত প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে তিনি বাড়ির পানির ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করেন।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার পঙ্কজ ভাট বলেন, ‘পুত্রবধূর করা অভিযোগে রাজেন্দ্র বহুগুনা খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন। পুলিশ এসে দেখে রাজেন্দ্র ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে নিজেকে গুলি করার হুমকি দিচ্ছেন।’
পুলিশ লাউডস্পিকার ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি বারবার বলতে থাকেন যে, তাঁকে মিথ্যা অভিযুক্ত করা হয়েছে। একপর্যায়ে মনে হলো তিনি নিচে নেমে আসবেন। কিন্তু তখনই হঠাৎ বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়, জানান পুলিশ অফিসার।
রাজেন্দ্র বহুগুনাকে তাঁর পুত্রবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে ‘যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা’ আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
পুত্রবধূ, তাঁর (পুত্রবধূর) বাবা ও এক প্রতিবেশীর প্ররোচণায় তাঁর বাবা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজেন্দ্র বহুগনার ছেলে অজয় বহুগুনা।