বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে: সেনাবাহিনী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিছু কনটেইনারে কাপড়ের জিনিসপত্র আছে। এই জিনিসে পানি দেওয়া হলে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই ডিপো থেকে আর কোনো বড় ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোর সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। ডিপোর ভেতরে বিপদজনক কিছু আছে কি না তারা তা নিয়ে কাজ করছেন। সরেজমিন তারা পরিদর্শন করছেন। তাদের সঙ্গে স্পেশাল লোকজন আছেন। তারা বিষয়গুলো দেখছেন। তাদের কাছে ফাইনাল রিপোর্ট পাব। তাদের কাছ থেকে জানতে পারব কোনো বিপদ হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না। আপাত দৃষ্টিতে আমরা বলতে পারি, ডিপোর আগুন পুরোপুরি কন্ট্রোলে চলে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে যাতে আর হতাহতের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টিকে আমরা প্রথম গুরুত্ব দিচ্ছি। যে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে সেগুলোর কাছে কম যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আর কোনো হতাহত চাইনি।
আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। আপনারা জানেন কিছু কন্টেইনারে কাপড়ের পণ্য আছে। ওইগুলো পানি দেয়ার ফলে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নাই বলে আমি মনে করি। এছাড়া আর যাতে হতাহত না ঘটে তার জন্য আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি। এ কারণে যেগুলো থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, সেগুলোর আশেপাশে আমরা কম যাচ্ছি। আমরা আর কোনো হতাহত চাই না। আমাদের টার্গেট হচ্ছে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে, কিন্তু আর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এ বিস্ফোরণে হতাহত হন।
এ ঘটনায় ৪১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।