মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে পোল্যান্ডের পথে জাহাজ
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রথম ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দর দিয়ে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বিদেশি জাহাজ এম ভি মার্কস নেসনা। রাজধানীর ২৭টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ১৭ কন্টেইনার পণ্য পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দরে আসে। এরপর সোমবার (২৫ জুলাই) থেকে সে সব পণ্য জাহাজে বোঝাই করা হয়। বোঝাই শেষে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি মার্কস নেসান বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে মোংলা বন্দর ত্যাগ করে।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে সড়ক পথে মোংলা বন্দরের দূরত্ব কমেছে। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার, সেখানে বর্তমানে মোংলার দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় এবং ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমায় ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে আগ্রহ বাড়ছে তাদের।
মোংলা বন্দর ব্যবহার করে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির বিষয়টি বন্দরের জন্য নতুন এক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শিপিং এজেন্টরা।
সিঅ্যান্ডএফ ও শিপিং এজেন্ট সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে জাহাজের চাপের কারণে অনেক সময় পণ্য খালাস বা বোঝাইয়ে সময়ক্ষেপণ হয়। তবে মোংলা বন্দরে সেই চাপ নেই। এই গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির পর আরও অনেকে এই বন্দর দিয়ে রপ্তানিতে আগ্রহী হবেন।
মোংলা বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর আগে হাতে গোনা কয়েক বার অল্প কিছু গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়েছে মোংলা দিয়ে। এই রপ্তানির মাধ্যমে একটা নতুন যাত্রা শুরু হলো।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে জাহাজের এই যাত্রা মোংলা বন্দরের জন্য একটি নতুন মাইল ফলক। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সড়ক পথে ঢাকা থেকে মোংলা বন্দর হয়ে প্রথম গার্মেন্টস পন্য রপ্তানি হচ্ছে। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ১৭টি কনটেইনারে গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে জাহাজটি পোল্যান্ড যাবে। ভবিষ্যতে আমদানি-রপ্তানির এই ধারা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কয়েক বছরে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ৮ হাজার ৮৫২ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।