একে একে গেলেন সবাই, রইল ইয়াসিন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে লাগা আগুনের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দগ্ধ ছয়জনের পাঁচজনই মারা গেলেন, এখন বেঁচে আছে শুধু একটি শিশু।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মার যান ২৪ বছর বয়সী সোনিয়া বেগম। হাসপাতালের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ থেকে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ ছয়জন এসেছিলেন। সর্বশেষ মারা যাওয়া সোনিয়ার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ওই দুর্ঘটনায় একটি শিশু ছাড়া সবাই মারা গেলেন।
চিকিৎসাধীন শিশু ১২ বছরের ইয়াছিনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান এস এম আইউব।
সোনিয়ার ছোট ভগ্নিপতি মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, ‘মায়ের বাসায় বেড়াতে এসে মা-মেয়ে দুজনই মারা গেলেন। শিশু মারিয়া প্রথম দিনে মারা যায়। আজ চলে গেলেন সোনিয়া। সোনিয়ার স্বামী বেঁচে আছে। আর আছে এক শিশু।’
এর আগে গত ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল মান্দাইল জাওলাপাড়া এলাকার একটি ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত।
দগ্ধদের নিয়ে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইদুনি বেগম পাক ঘরে চুলা ধরাতে গেলে ম্যাচ ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়।’
পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয় ওই দুর্ঘটনায় দগ্ধদের। এরপর একে একে পাঁচজন মারা গেলেন।