
অর্থের বিনিময়েও পুলিশি নিরাপত্তা পাবেন না প্রিন্স হ্যারি
অর্থের বিনিময়েও পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন না ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স হ্যারি। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে তার করা একটি আপিল খারিজ করে দিয়েছেন ব্রিটেনের আদালত।
এ নিয়ে ভবিষ্যতে আরও শুনানির কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন বিচারক। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা জানান, অর্থের বিনিময়ে ধনী ব্যক্তিদের পুলিশকে কিনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভাল নয় প্রিন্স হ্যারির। সুযোগ পেলেই তোপ দাগেন রাজপরিবারের বিরুদ্ধে। আর তাই বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন রাজপুত্র।
রাজকীয় উপাধি ও দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর নিজ দেশে নিরাপত্তা চেয়ে যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে আপিল করেছিলেন হ্যারি। ব্রিটিশ সরকার তাকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে রাজি না হওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। তবে ব্যক্তিগত অর্থ প্রদানের বিনিময়ে পুলিশি সুরক্ষা চেয়ে করা সেই আপিলও এবার খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থের বিনিময়ে নিজ দেশে নিরাপত্তা চেয়ে লন্ডন হাইকোর্টে যে আপিল করেছিলেন প্রিন্স হ্যারি, তা শুনানির জন্য আর না এগোনোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শুধু তাই নয়, ধর্নী ব্যক্তিদের পুলিশকে কিনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন সরকারপক্ষের আইরজীবীরা।
এর আগে গত সপ্তাহে লন্ডন হাইকোর্টে এ বিষয়ে একদিনের শুনানি হয়। সেদিন অর্থের বিনিময়ে হ্যারি ও তার পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা না দেয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন তার আইনজীবীরা। যদিও এরপর থেকে গাড়ি দুর্ঘটনার বিষয় নিয়ে এতদিন ব্যস্ত ছিলেন হ্যারি মেগান দম্পতি। অবশেষে মঙ্গলবার ওই আপিল খারিজ করে দেন বিচারক।
আপিল প্রত্যাখ্যানের পর হ্যারির আইনজীবীরা জানান, ব্রিটেনে হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অর্থের বিনিময়ে পুলিশি নিরাপত্তা নেয়ার বিধান থাকলেও এক্ষেত্রে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ব্রিটেনে পাবলিক ফিগার বা রাজপরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি যারা দেখভাল করেন, সেই নির্বাহী কমিটিও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
তবে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনজীবীদের দাবি, হ্যারি অর্থের বিনিময়ে যে ধরনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চেয়েছেন তা অনেকটা দেহরক্ষীর মতো, যা রাষ্ট্রীয় বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আর এ কারণেই তার আপিল প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত।