আদালত অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাস এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বিচার কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এই সাজা দেওয়া হয়।
বুধবার (আজ) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করে। অপর দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোহিতুল হক চৌধুরী এবং বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ।
দুই আসামি আত্মসমর্পণ করলে অথবা গ্রেপ্তার হলে সাজা কার্যকর হবে। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এটিই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম দণ্ডাদেশ।
শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আদালতের বন্ধু (অ্যামিকাস কিউরি) হিসেবে বক্তব্য দেন সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং প্রসিকিউটর তানভীর জোহা।
এর আগে, ১৯ জুন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার মামলায় বিচারকরা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন। অভিযোগের পেছনে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিও ক্লিপের ভূমিকা ছিল, যেখানে শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে বলা হয়, “২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।”
এই অভিযোগে শেখ হাসিনা ও শাকিল বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। ৩০ এপ্রিলের শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল তাদের ২৫ মে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা হাজির না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়। এরপরও তারা কোনো জবাব না দেওয়ায় আদালত এই রায় ঘোষণা করে।