‘স্মৃতির প্রাঙ্গণে, প্রীতির বন্ধন’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের ১৯৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ‘পারিবারিক মিলনমেলা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এয়ারপোর্ট রোডের এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড পার্কে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ১৯৯৫ ব্যাচের অন্তত ৭৫ জন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারসহ প্রায় আড়াই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মো. শামীম আহমদ (মাস্টার), মো. আলতাফ হোসেন ও মো. আব্দুল বাছিতের (মাস্টার) পরিচালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর ইংল্যান্ড থেকে আগত কাজী ফয়েজ আহমদ ও রশিদ আহমদকে ১৯৯৫ ব্যাচের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে পারিবারিক মিলনমেলা বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে ১৯৯৫ ব্যাচের সকল বন্ধুকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে শৈশবের দিনগুলো স্মরণ করতে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়, যেখানে দুই পর্বের হাঁড়িভাঙা খেলায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
এ মিলনমেলাকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘জংশন-৯৫’ নামে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। এর মোড়ক উন্মোচন করেন ইংল্যান্ড থেকে আগত কাজী ফয়েজ আহমদ, রশিদ আহমদ, দবির আহমদ, আবুল কালাম আজাদ ও আছাদুর রহমান আছাদ।
আয়োজকরা জানান, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। ১৯৯৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও তাদের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন চির অটুট রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
অনুষ্ঠানে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম সিরাজুল ইসলাম এবং প্রয়াত সহপাঠী মজুমদার আলী, আবু তৈয়ব মো. গিলমান, নুরুল ইসলাম, আজাদুর রহমান আজাদ ও মো. মাহবুবুর রশীদের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ১৯৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাজী ফয়েজ আহমদ, রশিদ আহমদ, মো. জাকির হোসেন, মো. আশরাফ রব্বানী, মো. লুৎফুর রহমান, মো. আছাদুর রহমান পীর, মনসুর উদ্দিন, মো. আলতাফ হোসেন, মো. শামীম আহমদ, মো. আব্দুল বাছিত, মো. খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. আজাদুল হক (আজাদ), মো. সাহাব উদ্দিন, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. শামীম আলম, দবির আহমদ, মো. রানা মিয়া, অলক দে, মোহাম্মদ কামাল মিয়া, মো. ইয়াকুব আলী, আব্দুল হক, মো. শামীমুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার, মো. নুরুজ্জামান, আব্দুল জাহির, মো. ফয়জুল হক (রনি), এনামুল হক, মো. কবিরুল ইসলাম, নুরুন নাহার বেগম হেনা, স্মৃতি রানী দাশ, রুমেনা আক্তার ঝুনু, রুশনা বেগম, আমলেন্দু শেখর দাশ, মো. আব্দুল করিম, মো. আনোয়ার হোসাইন, মো. ওলিউর রহমান, কদর আলী, ওবায়দুর রহমান দুলাল, মো. বেলাল হোসেন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম (সবুজ), নারায়ন বনিক্য বাবুল, শাহ মাহমুদ আলী, মো. ফজর খান, মোহাম্মদ গৌছ আলী, মো. তোরণ মিয়া, রোকশানা আক্তার কলি, রেহেনা বেগম, মোহাম্মদ উবায়দুর রহমান, মিনারা বেগম, মোহাম্মদ আনা মিয়া, সুহেল মিয়া, মো. নুরুল হক, মো. আসাদুজ্জামান, নুরুল আমিন সুজন, খালেদ, আব্দুল হামিদ, নজরুল ইসলাম, কে. এ. চন্দন, কবির শায়েক, আব্দুস শহীদ, মো. তাজ উদ্দিন, চয়ন দেব, মো. আনেয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম, রনজিত সূত্রধর, মো. ফজর উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম সাজু, সাইদুল হাসান, আব্দুল আলিম, সুলেমান আহমদ, মো. মিজানুর রহমান খান, মো. দবির মিয়া, এ. জেড. এম. মাহমুদ (শাহীন), মো. মোশফিকুর রহমান স্বপন, আজহারুল ইসলাম আজাদ, আঙ্গুর আলম, দোলন চন্দ্র দেব, ইমরুল কয়েস, রাহুজ্জামান, শামসুল আলম, মো. গোলাম কবির রুহেল, মাহমুদুর রশীদ আখতার, আনোয়ার (আমীন), আলিম উদ্দিন আহমেদ, বেলাল আহমেদ, সেবুল আহমদ, মোহাম্মদ ইউসুফ আলম দুলন, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, খলিল শাহ, আমিনুর রহমান, মো. আবু বকর, মো. আতাউর রহমান, পারভিন বেগম, রহিমা বেগম, সুফিয়া বেগম, মো. সাবাজ মিয়া তালুকদার, নার্গিস নাহার, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহিবুর রহমান, প্রদীপ কুমার মজুমদার, আব্দুল্লাহ আজাদ ইব্রাহিম, পারভিন বেগম, সুহেল রহমান, বেলাল আহমদ, নির্মল সূত্রধর, আজিজুর রহমান, সম্পা বেগম, নার্গিস জাহান নাদিরা, মিজান রহমান (বাবুল), জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, গৌরাঙ্গ রৌদ্র পাল, মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. নরুল হক, কয়েছ উদ্দিন, লিটন চন্দ্র কর, এমদাদুল হক, জয়নাল আবেদীন, মো. আকরাম আলী, রাহিমা বেগম, পুষ্পমালা বেগম, সুলতানা বেগম প্রমুখ।