ইফতারে টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে রিফ্রেশ রাখে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিছু সমস্যাও হতে পারে।
টক দইয়ে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রতিদিন টক দই খেলে আপনার শরীর থেকে অনেক রোগ পালিয়ে যাবে। টক দই প্রোবায়োটিকের কাজ করে। হজমপ্রক্রিয়া এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রোবায়োটিক কার্যকরী। টক দই পেট ফোলা কিংবা ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।
জেনে নিন ইফতারে টক দই খাওয়ার উপকারিতাগুলো-
১. হজমশক্তি বাড়ায় – দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক।
২. পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো – গ্যাস্ট্রিক বা বদহজম প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৩. শরীর ঠান্ডা রাখে – সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. শক্তি বৃদ্ধি করে – এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন থাকে, যা দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
৫. ইমিউনিটি বুস্ট করে – দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
খেয়াল রাখার বিষয়-
১. অতিরিক্ত টক দই খেলে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
২. খালি পেটে বেশি খাওয়া এড়ানো উচিত, কারণ এটি কিছু মানুষের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
৩. সুগার মিশ্রিত দই কম খাওয়াই ভালো, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।
যেভাবে খাবেন-
১. ফল বা খেজুরের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আরও পুষ্টিকর হবে।
২. শরবত বা স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৩. একটু মধু বা চিনি মিশিয়ে স্বাদ বাড়ানো যায়।
৪. সঠিক পরিমাণে খেলে ইফতারে টক দই বেশ স্বাস্থ্যকর হতে পারে!