ঘন কুয়াশার চাদরে সিলেটজুড়ে জনজীবন প্রায় থমকে গেছে। কয়েক হাত দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না, আর এ কারণে দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। গত দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই, ফলে তীব্র ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর থেকেই সিলেটসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত এই কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।
ঠাণ্ডায় জবুথবু জনজীবন
বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুগছেন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে সিলেটের গ্রামাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় শিশু ও বয়স্করাও বিপাকে পড়েছেন।
শীতের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, সকাল ৮টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যার পর থেকে পুরো এলাকা আবারও কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে।
তাপমাত্রা ও পূর্বাভাস
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৪.৩ ডিগ্রিতে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দুই থেকে তিনদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন
কুয়াশার কারণে সিলেটের সড়ক, নৌ এবং আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। প্লেন চলাচল ও নৌ পরিবহনেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়ার এই বৈরী পরিস্থিতি কতদিন চলবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে কুয়াশা কমে গেলে এবং সূর্যের আলো দেখা দিলে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।