বিপিএলের এক আসরে এত বিতর্ক অতীতে খুব কমই দেখা গেছে। পারিশ্রমিক ইস্যুর পর উঠেছে ম্যাচ গড়া-পেটা নিয়ে সন্দেহ। তবে এত নেতিবাচক খবরের ভিড়েও মাঠে দর্শক উপস্থিতি রেকর্ড গড়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে টিকিট কাটায় লাভবান হয়েছে বিসিবিও। টিকিট বিক্রি থেকে আয়ে ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ড। এখনো ৪ ম্যাচ ডে বাকি থাকলেও, শুধু টিকিট বিক্রি করেই ক্রিকেট বোর্ডের আয় ছাড়িয়েছে ১০ কোটি টাকা।
সামাজিক মাধ্যমে বিপিএলের চলতি আসরের নাম অনেকেই দিয়েছে বকেয়া প্রিমিয়ার লিগ। রাজশাহী-চিটাগংয়ের পারিশ্রমিক নিয়ে ধারাবাহিক নাটকের শেষ কোথায় তা নিয়েও সন্দেহ আছে অনেকের। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ফিক্সিং নিয়ে ফিসফাস। বেশ কিছু দলের খেলোয়াড়দের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিসিবির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট। ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক দিয়ে দেশের একমাত্র টি-২০ লিগ পৌঁছে গেছে তলানিতে।
তবে এত নেতিবাচক খবরের পরও এবারের আসরে মাঠে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকা-চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট, সব ভেন্যুতেই টিকিট নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি হয়েছে। মিরপুরে খেলা দেখার টিকিট না পেয়ে কাউন্টারে আগুন দেন ক্ষুব্ধ দর্শকরা। ভাঙচুর চালান বিসিবির প্রধান গেইটেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু হিমশিম ঠিকই খেতে হয়েছে বিসিবিকে, কিন্তু সঙ্গে পেয়েছে সুফলও।
অতীতে বিপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে সর্বোচ্চ ৪ কোটি টাকা আয় করেছিল বিসিবি। তবে এবার ছাড়িয়ে গেছে আগের সব রেকর্ড। বিপিএলের এখনো চার ম্যাচ ডে বাকি। যার মধ্যে আছে কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালের মতো ম্যাচ। তার আগেই এখন পর্যন্ত শুধু টিকিট বিক্রি করে ক্রিকেট বোর্ড আয় করেছে ১০ কোটি টাকারও বেশি। বিগ ম্যাচগুলোতেও মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দেখা যাবে গ্যালারি ভরা দর্শক। নিশ্চিতভাবেই আয় যে আরও বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
টিকিট বিক্রি থেকে আয় বাড়ার মূল কারণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিপিএলের টিকিট বিক্রি। এবারের টুর্নামেন্টের ৬০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি জমা হচ্ছে বোর্ডের কোষাগারে। শুরুতে অনলাইনে টিকিট বিক্রি নিয়ে অনেকের অভিযোগ থাকলেও, ধীরে ধীরে নতুন নিয়মের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন দর্শকরা। কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে অভূতপূর্ব সাড়া।
টিকিট বিক্রি থেকে আয় বাড়ায় এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপের প্রাইজমানি বাড়িয়েছে বিসিবি।