জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাঠা ইউনিয়ন এলাকায় ট্রাক চাপায় যুবকের মৃত্যু হয়েছে।নিহত যুবকের নাম কাজল দাস (২২)। তিনি ওই ইউনিয়নের সরুখেল গ্রামের নিরেন্দ্র দাসের পুত্র।
মঙ্গলবার গভীর রাত দেড়টার দিকে এদুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে কাজল দাস নিজ বাড়ী যাওয়ার পথে লালাখাল চারিকাঠা রাস্তার সম্মুখে চারিকাঠা বাজার এলাকায় নজরুল ইলেকট্রনিকস দোকানের সামনে এসে পৌছালে বেপোরয়া গতির একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কাজলকে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা সম্ভব হয় নি।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ উসমান গনী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ গিয়ে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুয়েটে রামদা দিয়ে হামলা চালানো যুবদল নেতা বহিষ্কারকুয়েটে রামদা দিয়ে হামলা চালানো যুবদল নেতা বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে হামলা চালানো যুবদল নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার করা নেতা হলেন মাহবুবুর রহমান। তিনি খুলনা দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি।
গতকাল বুধবার যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুবদলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
উল্লেখ্য, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মী মিশে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলা এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
রাতে শিক্ষার্থীরা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি, এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেন এবং তা না মানা হলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।