সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দরে ভারত থেকে মিথানল নিয়ে আসা একটি ট্যাংকলরীতে অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ সময় লরীতে মিথানল না থাকায় ভয়াবহ দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে তামাবিল স্থল বন্দর ও এর আশপাশের এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর দেড়টায় ভারতীয় ট্যাংকলরী (এনএলও-এলএ-এইচ ৯৪৯৩) তে আগ্নীকান্ডের সূত্রপাত হয়।
এ সময় তামাবিল স্থলবন্দর থেকে জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনে খবর দেয়া হয়। কিন্তু ১২ কিমি দুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসতে বিলম্ব ভেবে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দর থেকে অগ্নিনির্বাপক গাড়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এরপর মিনিট দশেক সময়ের ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক বলেন, গত ৫ই নভেম্বর বাংলাদেশের মিথানল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা স্প্রেক ক্যামিকেল লিমিটেডের নামে ৭টি গাড়ী তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। পরে ল্যাবরেটরী পরীক্ষা শেষে শনিবার বাংলাদেশের ট্যাংকলরীতে ক্যামিকেলগুলো স্হানান্তর করা হয়।
প্রতিটি ভারতীয় ট্যাংকলরীতে ২৮-৩০ টন মিথানল থাকে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আগুন লাগা গাড়ীটি সাতটি আমদানি হওয়া গাড়ীর সর্বশেষ গাড়ী ছিলো।
পুড়ে যাওয়া গাড়ীর চালক সারভান জানিয়েছেন গাড়ীর ভিতরে ওয়্যারিং শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
এ দিকে মিথানলের গাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ও স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তামাবিলের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিগত ছয় মাস পূর্বে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ক্যামিকেল আমদানির বিষয়ে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
দ্রূত সময়ের মধ্যে ক্যামিকেল আমদানির পূর্বে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।