দক্ষিণ পর্তুগালে ছুটি কাটাতে গিয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রিটেনের থেটফোর্ড শহরের একটি পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার পর্তুগালের আলেন্তেজো অঞ্চলের কাস্ত্রো ভার্দে শহরের কাছে IP2 মহাসড়কে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী ডোমিঙ্গোস সেরানো, তার স্ত্রী মারিয়া (৫১), এবং তাদের ২০ বছর বয়সী যমজ দুই ছেলে—আফনসো ও ডোমিঙ্গোস জুনিয়র। যমজদের একজনের বান্ধবী, ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী এবং দুর্ঘটনায় জড়িত অপর গাড়ির ২৬ বছর বয়সী চালকও ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
পরিবারটি পর্তুগালের ফারো থেকে মুরাও নামক শহরে যাচ্ছিল, যেখানে তারা নিয়মিত ছুটি কাটাত। যদিও তারা যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন, স্কাই নিউজ জানিয়েছে, তাদের পাসপোর্ট অনুযায়ী তারা ব্রিটিশ নাগরিক নাও হতে পারেন।
নরফোকের থেটফোর্ডে বসবাসকারী এ পরিবার মূলত পর্তুগালের মুরাও শহরের বাসিন্দা ছিলেন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর মুরাও পৌরসভা নিহতদের মৃত্যু নিশ্চিত করে দুই দিনের শোক ঘোষণা করেছে এবং সমস্ত সরকারি কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান বাতিল করেছে।
এক বিবৃতিতে মুরাও পৌরসভা জানায়, “এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় পৌরসভা গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং নিহতদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে।”
পরিবারটির দুই ছেলে, আফনসো ও ডোমিঙ্গোস, থেটফোর্ড টাউন ফুটবল ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৮ দলে খেলতেন। ক্লাবটি সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছে, “এই সুন্দর পরিবারের মৃত্যু স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। তারা চলে গেছেন, কিন্তু তাদের কখনও ভুলে যাওয়া হবে না।”
এদিকে পর্তুগাল পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণেই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, স্কাই নিউজ