Uk Bangla Live News | Stay updated with UK Bangla Live News

পরপর ৩ জুমা না পড়লে যে পাপ হয়

ডেস্ক সংবাদ

জুমার দিন আল্লাহর দেওয়া দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। সপ্তাহের ঈদের দিন শুক্রবার। ইসলামে এ দিনের মর্যাদা রয়েছে। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন মহান আল্লাহ। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন , হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুমা- ০৯)।
আল্লাহর রাসুল (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৯৮)
জুমার দিনের অনেক আমলের কথা বিভিন্ন হাদিসে চমৎকারভাবে আলোচিত হয়েছে। আউস ইবনে আউস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)
ফজিলতের পাশাপাশি জুমার নামাজ অনাদায়ে হাদিসে শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কেউ পর পর তিন জুমা আদায় না করলে তার জন্য সতর্কবাণী উল্লেখ করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পর পর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৫২; তিরমিজি, হাদিস : ৫০২; মুসলিম, হাদিস : ১৯৯৯)
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।
তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।
এ ছাড়া নামাজ পড়া মুসলিমদের একটি নিদর্শন। তাই হজরত উমর (র.) বলতেন, ‘নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফের’ (বায়হাকি: ১৫৫৯, ৬২৯১)। হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘যে নামাজ পড়ে না সে কাফের’ (বায়হাকি: ৬২৯১)। নামাজ পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে কোরআন-সুন্নাহর দলিলগুলো প্রমাণ করে, বে-নামাজি ব্যক্তি ইসলাম নষ্টকারী বড় কুফরিতে লিপ্ত। তাই জুমা ও যেকোনো ওয়াক্তের ফরজ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

Print
Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বশেষ সংবাদ

IMG-20250509-WA0033
শহীদ জিয়া গ্রন্থমেলা সফল করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত
শহীদ জিয়া গ্রন্থমেলা সফল করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত
IMG-20250508-WA0058~2
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী'র পিতার মৃত্যুতে আলোর অন্বেষণ'র শোক প্রকাশ
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী’র পিতার মৃত্যুতে আলোর অন্বেষণ’র শোক প্রকাশ
1746675550.sylhet
সিলেট বিআরটিএ অফিসে ৫০ কোটি টাকার ঘুষের অভিযোগে দুদকের অভিযান
সিলেট বিআরটিএ অফিসে ৫০ কোটি টাকার ঘুষের অভিযোগে দুদকের অভিযান
6f3c91a9f9a95a38a8dbaa92d123889ec8a3f60b3136fab6
আয়েশা (রা.): ইসলামের জ্ঞানের আলোকবর্তিকা
আয়েশা (রা.): ইসলামের জ্ঞানের আলোকবর্তিকা
bf6a098a11b45e410e44532995f24482-681c77851c0e8
সিলেট সীমান্তে বিএসএফের সাথে বাঙালিদের উত্তেজনা
সিলেট সীমান্তে বিএসএফের সাথে বাঙালিদের উত্তেজনা
47334f1f2c7c1e336464536a5a1ccefb38394406bd92e8fb
হজে যাওয়ার আগে যা জানা জরুরি
হজে যাওয়ার আগে যা জানা জরুরি

সম্পর্কিত খবর