বৃদ্ধিমান ঘাটতি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি) শরৎ বাজেটে বাড়িওয়ালাদের ভাড়া থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর জাতীয় বীমা (জাতীয় Insurance) কর আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সরকারের অতিরিক্ত প্রায় £২ বিলিয়ন রাজস্ব আসতে পারে।
বর্তমানে ভাড়া, সঞ্চয় ও পেনশন থেকে আয়ে জাতীয় বীমা কর আরোপ করা হয় না। তবে সরকারের মতে, এই খাতগুলোতে কর আরোপের মাধ্যমে প্রায় £৪০ বিলিয়নের ঘাটতি পূরণে সাহায্য মিলতে পারে।
অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, সম্পত্তি থেকে আয়কে রাজস্বের “একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য উৎস” হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন—এ ধরনের কর আরোপের ফলে বাড়িওয়ালারা ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হতে পারেন, যা শেষ পর্যন্ত ভাড়াটেদের ওপর চাপ ফেলবে।
সম্পত্তি খাতে কর সংক্রান্ত এই জল্পনা আবাসন বাজারেও প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে যেসব ক্রেতা £৫০০,০০০ বা তার চেয়ে কম মূল্যের বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন, তারা সিদ্ধান্ত নেওয়া স্থগিত করছেন।
এদিকে, চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস উচ্চমূল্যের সম্পত্তির ওপর অতিরিক্ত কর, এমনকি স্ট্যাম্প শুল্কের বিকল্প হিসেবে একটি জাতীয় সম্পত্তি কর চালুর বিষয়েও চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে।
সরকার বলছে, তারা এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ট্রেজারির এক মুখপাত্র জানান, “আমরা অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়াকেই মূল লক্ষ্য হিসেবে দেখছি, শুধু কর ও ব্যয়ের মাধ্যমে নয়, বরং পরিকল্পিত সংস্কারের মাধ্যমে।”
অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন মরগান বলেন, আসন্ন বাজেট হবে “শ্রমিক মূল্যবোধের” ওপর ভিত্তি করে তৈরি, এবং তিনি এখনই এই বিষয়ে জল্পনা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না।