চাচাতো বোনকে ভালোবেসে বিয়ে করে চার টুকরো লাশ হয়েছেন বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) ছাত্র ওমর ফারুক সৌরভ। এমনটিই দাবি সৌরভের পরিবারের। তাঁকে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
আজ সোমবার (৩ জুন) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে দেখা হয় সৌরভের বাবা ইউসুফ আলী, মা মাহমুদা আক্তার পারুল, বোন ফারজানা, ভগ্নিপতি রবিউল ইসলাম এবং খালাত ভাই সাইদ আলমের সঙ্গে।
সৌরভের বাবা ইউসুফ আলী জানান, টানা পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক সৌরভ-ইভা জুটির। অবশেষে গত ১২ মে তাদের বিয়ে হয়। ঢাকায় চাচাতো বোন ইশরাত জাহান ইভাকে বিয়ে করেন নিহত সৌরভ। তবে বিয়েটা সৌরভের পরিবার মেনে নিলেও মেনে নেননি ইভার মা-বাবা। তাঁরা সৌরভকে হত্যার পরিকল্পনা করে ভয় দেখিয়ে গত ১৬ মে ইভাকে কানাডায় পাঠিয়ে দেন। এরপর গত শনিবার সৌরভকে ময়মনসিংহে ডেকে আনেন শ্বশুর ইলিয়াস আলী। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যার পর মাথা, দুই পা এবং দেহ চার খণ্ড করে ট্রলিতে ভরে ফেলে দেওয়া হয় মনতলা ব্রিজের নিচে। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মা-বাবা, বোনসহ স্বজনরা। কোনো ভাবেই এমন হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহপাঠীরাও। তাঁদের দাবি অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি।
গতকাল রোববার রাতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিহত সৌরভের বাবা ইউসুফ আলী একটি হত্যা মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহীনুল ইসলাম ফকির বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
গতকাল রোববার দুপুরে ওমর ফারুক সৌরভের মরদেহের চারটি খণ্ড উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন ইলিয়াস আলীসহ পুরো পরিবার।