যুক্তরাজ্যে বৈধ ভিসা ছাড়া যাত্রীদের প্রবেশ ঠেকাতে ইউরোপের বিমান সংস্থাগুলোর ৯,০০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ফ্লাইটে ওঠার আগেই যাত্রীদের ভিসা যাচাই করে দেখা হবে, যাতে কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে।
পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি বলেছেন, এটি “আরও নিরাপদ, আরও কার্যকর এবং আরও আধুনিক ডিজিটাল সীমান্ত ব্যবস্থা গঠনের” অংশ। তবে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, বিশেষ করে আশ্রয়প্রার্থী ও বৈধ যাত্রীদের হয়রানি নিয়ে।
Wizz Air, Jet2, Lufthansa-সহ ইউরোপের ৩৯টি দেশের কর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা এখন থেকে যুক্তরাজ্যমুখী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ডকুমেন্ট যাচাই করবেন। মূলত গ্রিস, মাল্টা, ইতালি ও আলবেনিয়ার মতো অনিয়মিত অভিবাসনের ট্রানজিট রুটগুলোতে এই নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগ যুক্তরাজ্যের নতুন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ETA) ও ইভিসা সিস্টেমের অংশ, যেখানে ভ্রমণের আগে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে সীমান্তে প্রবেশে আগে থেকেই তথ্য যাচাই সহজ হবে।
সরকার বলছে, এই ডিজিটাল ব্যবস্থা বাস্তবায়নের ফলে অবৈধ অভিবাসন, ভিসার মেয়াদ অতিক্রম করা এবং বিদেশি অপরাধীদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠানো সহজ হচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের পর থেকে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনে ২৩% এবং অপরাধীর নির্বাসনে ১৪% বৃদ্ধি ঘটেছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, এই প্রশিক্ষণ তাদের কর্মীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তবে কিছু মানবাধিকার সংগঠন বলছে, এটি ভুল সিদ্ধান্তে বৈধ যাত্রীদের ভ্রমণ ঠেকাতে পারে এবং বিমান সংস্থার কর্মীদের উপর অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে।
ব্রিটেনের কূটনীতিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোতে এই নিয়ম প্রচারে সক্রিয় হতে এবং সাধারণ জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে।