গত বছর থেকে যুক্তরাজ্যের কিছু অঞ্চলে দাবানলের পরিমাণ ১,২০০% বেড়েছে। বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে, এর ফলে পুরো পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বন্যপ্রাণী ও পাখির আবাসস্থল পুড়ে গেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওয়েলসের একটি জায়গা—আবারগওয়েসিন কমন—যেখানে ১,৬০০ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। এই এলাকা একটি বিশেষ সুরক্ষিত অঞ্চল এবং এটি বিরল একটি পাখি, গোল্ডেন প্লোভার-এর শেষ পরিচিত আবাসস্থল ছিল। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই পাখিটি হয়তো এখান থেকে পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
ন্যাশনাল ট্রাস্টের কর্মকর্তা ক্রিস স্মিথ জানান, আগুনে পাখির বাসা, পোকামাকড়, উভচর প্রাণী এবং সরীসৃপ সবই পুড়ে গেছে। ফলে পুরো বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে। আগুনে পিট মাটি পুড়ে যাওয়ায় সেটি পুনরুদ্ধারে শত শত বছর লাগতে পারে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সাউথ ওয়েলস এলাকায় ৪৪৫টি দাবানল হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১,২০০% বেশি। পুরো ওয়েলসে ১,৩০০টিরও বেশি ঘাসের আগুন নেভাতে হয়েছে।
উত্তর আয়ারল্যান্ডেও আগুনে অনেক ছোট প্রাণী ও পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে আছে ছোট হিথ প্রজাপতি, বিটল, স্কাইলার্ক পাখি এবং পেরেগ্রিন ফ্যালকন।
ন্যাশনাল ট্রাস্ট বলছে, তারা জলধারণ ক্ষমতা বাড়াতে ও পরিবেশ রক্ষা করতে আর্দ্র ভূমি তৈরি এবং জল ধরে রাখার প্রকল্প চালাচ্ছে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, এসব দাবানল জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের প্রমাণ। WWF বলেছে, এই আগুনগুলো “জলবায়ু ও প্রকৃতির সংকট” আরও স্পষ্ট করে তুলছে।
জাতীয় অগ্নিনির্বাপক পরিষদ জানিয়েছে, আগামীতেও এমন দুর্যোগ মোকাবেলায় বড় পরিসরে ও দীর্ঘমেয়াদে সরকারি পদক্ষেপ প্রয়োজন।