আগামী রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায়, যুক্তরাজ্যজুড়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে জাতীয় জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থার (Emergency Alert System) সাইরেন।
এই পরীক্ষার অংশ হিসেবে ফোর-জি ও ফাইভ-জি সংযুক্ত সব মোবাইল ফোনে একযোগে একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হবে, যা ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত শব্দ করে বাজবে এবং ফোন কেঁপে উঠবে। ব্যবহারকারীদের এতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই—বার্তাটি সোয়াইপ করে মুছে দিলেই যথেষ্ট।
ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টারের চ্যান্সেলর প্যাট ম্যাকফ্যাডেন বলেন, “এই সিস্টেমটি জীবন বাঁচানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। এটি যেমন ফায়ার অ্যালার্ম সবসময় প্রস্তুত থাকে, তেমনি এই প্রযুক্তিও জরুরি পরিস্থিতিতে সতর্কতা দিতে সদা প্রস্তুত থাকবে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সিস্টেম ঝড়-ঝঞ্ঝা ও অন্যান্য বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। উদাহরণ হিসেবে, স্টর্ম দারাহ এবং স্টর্ম ইওউইনের সময় তাৎক্ষণিক বার্তার মাধ্যমে লাখো মানুষকে সতর্ক করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, প্লাইমাউথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধারের সময়, এই সতর্কবার্তার মাধ্যমে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম জাতীয় সতর্কতা পরীক্ষা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার এই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় আকারে এটি ব্যবহৃত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে স্টর্ম ইওউইনের সময়, যখন স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে ৪.৫ মিলিয়ন মানুষ সরাসরি সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন।
পরীক্ষার আগে সরকার সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে, যাতে সবাই এ সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন। বিশেষত গৃহস্থলির সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের জন্য আলাদা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যেন তারা এই সতর্কতা কার্যক্রমের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন।
এছাড়াও, এবার প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে জাতীয় তথ্য ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে শ্রবণ প্রতিবন্ধীরাও সহজে তথ্য বুঝতে পারেন।
সূত্র: দ্য মিরর