Uk Bangla Live News | Stay updated with UK Bangla Live News

যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লিঙ্গ-সমালোচনামূলক শিক্ষাবিদদের সুরক্ষায় ব্যর্থ

ডেস্ক সংবাদ

যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লিঙ্গ-সমালোচনামূলক (gender-critical) শিক্ষাবিদদের হুমকি, হয়রানি এবং কর্মজীবন হুমকির মুখে যথাযথ সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক অ্যালিস সুলিভানের নেতৃত্বে প্রস্তুত করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জৈবিক লিঙ্গের গুরুত্ব নিয়ে গবেষণারত শিক্ষাবিদদের ক্রমাগত ভয়ভীতি ও বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, একাডেমিক স্বাধীনতা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সুলিভান প্রস্তাব করেছেন, যারা একাডেমিক স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের বিরোধিতায় হয়রানিমূলক আচরণে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “গবেষকরা শুধু জৈবিক ও সামাজিক লিঙ্গের গুরুত্ব স্বীকার করায় ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে দুর্বল করে দিচ্ছে।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের আগস্টে ইংল্যান্ডে কার্যকর হওয়া নতুন উচ্চশিক্ষা (বাক স্বাধীনতা) আইন একাডেমিকদের অধিকার রক্ষায় সহায়তা করবে। এই আইন যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অংশেও চালুর আহ্বান জানানো হয়েছে।

সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা একাডেমিক স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাধ্য করা হয়েছে যাতে তারা ক্যাম্পাসে মুক্ত বিতর্ক ও মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করে।”

সুলিভানের পূর্ববর্তী গবেষণাও যুক্ত করা হয়েছে প্রতিবেদনে, যেখানে ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত একটি সরকারি কমিশনে লিঙ্গ-ভিত্তিক গবেষণায় প্রতিবন্ধকতার চিত্র তুলে ধরা হয়। সর্বশেষ প্রতিবেদনে ১৪০টি মতামত জমা পড়ে, যার বেশিরভাগই লিঙ্গ-সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে ছিল — যা বিশ্বাস করে যে জৈবিক লিঙ্গ অপরিবর্তনীয় এবং এটিকে লিঙ্গ পরিচয়ের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।

সুলিভান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অতিরিক্ত প্রশাসনিক জটিলতা, অনিরাপদ ক্যারিয়ার কাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ চাপের কারণে শিক্ষাবিদরা গবেষণার স্বাধীনতা হারাচ্ছেন। “নীতি ও প্রক্রিয়াগুলোর পুনর্বিবেচনা না হলে এর নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়বে,” তিনি সতর্ক করেন।

প্রতিবেদনটি বলছে, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষকরা কীভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে খুব সামান্যই মতামত দিতে পারেন। পাশাপাশি সুপারিশ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের এমন পরিবেশে গড়ে তোলা উচিত যেখানে মতভেদকে হুমকি নয়, বরং শিক্ষার অংশ হিসেবে দেখা হয়।

প্রতিবেদনে এমন বেশ কিছু ঘটনার উল্লেখ আছে, যেখানে শিক্ষাবিদরা লিঙ্গ-সম্পর্কিত গবেষণার জন্য সহকর্মী বা প্রশাসনের বিরোধিতার শিকার হয়েছেন। এমন একটি ঘটনায় ২০২০ সালে অ্যালিস সুলিভানের একটি পরিকল্পিত বক্তৃতা বাতিল করা হয়।

একইভাবে, সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক ক্যাথলিন স্টক ২০১৮ সাল থেকে চলতে থাকা বিরোধিতা ও বিক্ষোভের মুখে ২০২১ সালে পদত্যাগ করেন। তিনি জানিয়েছেন, এটি ছিল তার বিরুদ্ধে “ভয় দেখানোর ধারাবাহিক অভিযান”।

উপাচার্যদের সংগঠন ইউনিভার্সিটিজ ইউকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইনগতভাবে বাধ্য যে তারা বিভিন্ন মতাদর্শের সহাবস্থান ও মুক্ত বিতর্কের পরিবেশ নিশ্চিত করবে। সেই সঙ্গে এমন প্রতিবাদ যাতে শিক্ষার্থী বা কর্মীদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ ব্যাহত না করে, তা নিশ্চিত করাও তাদের দায়িত্ব।”

তারা আরও জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।

Print
Email

সর্বশেষ সংবাদ

WhatsApp Image 2025-07-02 at 5.15.40 PM
ছাত্রদল নেতা লিটনের মুক্তির দাবিতে জাফলংয়ে বিক্ষোভ মিছিল
ছাত্রদল নেতা লিটনের মুক্তির দাবিতে জাফলংয়ে বিক্ষোভ মিছিল
Screenshot_18
পাথর ক্রাশার মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
পাথর ক্রাশার মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
623bf73c81447780074434
শনিবার থেকে সিলেটের সড়কে গাড়ি চলবেনা: পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি
শনিবার থেকে সিলেটের সড়কে গাড়ি চলবেনা: পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি
391000
সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১
সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১
391395
সিলেটে ‘ভালো আচরণ’ দেখিয়ে ৮ বন্দির কারামুক্তি
সিলেটে ‘ভালো আচরণ’ দেখিয়ে ৮ বন্দির কারামুক্তি
WhatsApp-Image-2025-07-01-at-21.03.05_4b7966ba-800x445
সরকারি ওয়েবসাইটের লোগোতে একটি ফুলস্টপে খরচ পড়েছে ৫ লাখ পাউন্ড
সরকারি ওয়েবসাইটের লোগোতে একটি ফুলস্টপে খরচ পড়েছে ৫ লাখ পাউন্ড

সম্পর্কিত খবর