রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলসহ দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল, ধারাল অস্ত্র, ককটেল এবং দেশি অস্ত্র ব্যবহার করেছে। পুলিশ রাবার বুলেট এবং কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে আধাঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাঘা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে আন্দোলন করছিল একটি পক্ষ। এই পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং পৌর মেয়র আক্কাস আলী। তারা আজ সকাল ১১টায় একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন। অন্যদিকে, সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের সমর্থকরা পৌর মেয়রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল এবং দুপুর ১১টার দিকে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপক্ষের মানববন্ধন থেকে অন্যপক্ষের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালানো হয়। এ সময় সংঘর্ষের ফলে উপজেলা পরিষদের সামনে রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা চলছে এবং এলাকায় অস্থিরতা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।