ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, সাবেক বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ক্ষমতার অপব্যহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তিনি দেশ থেকে পলায়ন করলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড বিনষ্টসহ অনুসন্ধান কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গতকাল আদালতে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন।
নিষেধাজ্ঞার আবেদনে আরও বলা হয়, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। শুনানি নিয়ে আদালত খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ফরিদপুর-৩ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ২০০৯ সালে তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী হন। এরপর ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। তার অনুগত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সরকারি সংস্থার উন্নয়নকাজের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও জমি দখল করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।