সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের আওতায় একাডেমিক শাটডাউন বহাল থাকবে এবং শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা (যেমন প্রিন্সিপাল, ডিরেক্টর) সকলেই বিক্ষোভে অংশ নেবেন।
অর্থাৎ, ইন্টার্ন চিকিৎসক থেকে শুরু করে প্রফেসর পর্যন্ত সকল চিকিৎসক কর্মবিরতিতে থাকবেন এবং আউটডোর চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
এছাড়া, ‘ঢাকা চলো’ মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা একযোগে যোগ দেবেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. সৌমিত্র দেব জানিয়েছেন, সকাল থেকে হাসপাতালের শাটডাউন চলছে, যার কারণে কিছু বিভাগের আউটডোর সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি বিভাগ এবং আইসিইউসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে সেবা চালু রাখা হয়েছে।
এদিকে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা সোমবার দুপুরে তাদের ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার।
- মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা।
- অটিসি ড্রাগ আপডেট করা।
- রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করা।
- চিকিৎসক সংকট সমাধানে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন।
- বিসিএস বয়স সীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করা।
- মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন দ্রুত বাস্তবায়ন।
এছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে ৩ সেপ্টেম্বর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার পর, চিকিৎসক সমাজের প্রতিবাদে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, আজ ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এই দাবিগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।